হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের পর জনপ্রিয় ফাস্ট-ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ড’স ইসরায়েলি সৈন্যদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করার ঘোষণা দেয়। এর পরপরই বিতর্কের মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ম্যাকডোনাল্ড’স-ইসরায়েল সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা করে যে, তারা হাসপাতাল এবং ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাজার হাজার সৈন্যদের বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছে। ম্যাকডোনাল্ড’স ইসরায়েল এক পোস্টে জানিয়েছে, শনিবার তারা হাসপাতাল এবং সামরিক ইউনিটগুলোতে ৪০০০ প্যাকেট খাবার সরবরাহ করেছে। যুদ্ধের মধ্যে থাকা সৈন্যদের প্রতিদিন হাজার হাজার প্যাকেট খাবার দিতে তারা ৫টি নতুন রেস্তোরাঁ খোলার কথাও জানিয়েছে।
এর পরপরই নেটিজেনদের অনেকেই এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। এক ব্যবহারকারী বলেছেন, ম্যাকডোনাল্ড’স ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছে। আমাদের নীতির পাশে দাঁড়ানো উচিত এবং আমাদের বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আসুন ম্যাকডোনাল্ড’সকে বয়কট করি। আরেকজন বলেছেন, যদি ম্যাকডোনাল্ড’স ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিনামূল্যে খাবার দেয় এবং গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের না দেয় তবে আমি মনে করি বিশ্বজুড়ে সব মুসলমানদের ম্যাকডোনাল্ড’সকে বয়কট করা উচিত। কিছু ব্যবহারকারী অবশ্য ইসরায়েলকে সমর্থন করায় ফাস্ট-ফুড চেইনটির প্রশংসা করেছেন।
এই ঘটনার পর লেবাননে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সিডনের স্পিনিসের একটি ম্যাকডোনাল্ড’সে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সমর্থকরা। পরে এক বিবৃতিতে ম্যাকডোনাল্ড’স-লেবাননের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাকডোনাল্ড’স-লেবানন নিশ্চিত করে যে অন্যান্য দেশ এবং অঞ্চলে অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির অবস্থান কোনভাবেই ম্যাকডোনাল্ডস’-লেবাননের মতামত বা অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা আমাদের জাতি এবং জনগণের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সংহতির সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ম্যাকডোনাল্ড’স ওমান এক্সে (টুইটার) জানিয়েছে, ওমান গাজার পাশে আছে। প্রতিষ্ঠানটি গাজার মানুষের জন্য ১ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে। ম্যাকডোনাল্ড’স-ওমান গাজার ভাই ও বোনদের জন্য মানবিক সহানুভূতি নিশ্চিত করে এবং আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ নীতি ও মূল্যবোধের সাথে আপস করি না। আসুন আমরা সবাই আমাদের প্রচেষ্টাকে একত্রিত করি এবং গাজা সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের সমর্থন বজায় রাখি।।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস বাহিনী। এতে ইসরায়েলও পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। দুই পক্ষের এই হামলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।