চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ফিক্সিংয়ে ১৪ বছর নিষিদ্ধ আমিরাতের ক্রিকেটার

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেটার মেহের ছায়াকরকে ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত সাতটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে আইসিসি। শাস্তি হিসেবে ১৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।

আইসিসির দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর মেহর ছায়াকরকে নিষিদ্ধ করে বুধবার বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি। নিষেধাজ্ঞার পর আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে ছায়াকর বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা।

২০১৯ সালের এপ্রিলে একটি আন্তর্জাতিক সিরিজে ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন মেহর। একই বছর আমিরাতের এ ঘরোয়া ক্রিকেটার কানাডায় একটি টি-টুয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেও ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন।

আইসিসি বিবৃতিতে বলেছে, আজমানে ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনে জড়িত থাকার মাধ্যমে আমরা প্রথম মেহর ছায়াকরের মুখোমুখি হয়েছিলাম। যে অভিযোগের জন্য তিনি এখন দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, তা আমাদের খেলাধুলাকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষতি করার জন্য তার অব্যাহত প্রচেষ্টার উদাহরণ।

যারা ক্রিকেটকে কলুষিত করার চেষ্টা করে তাদের অনুসরণ করে এসব কাজে বাধা দিতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করবো। খেলাধুলাকে যারা কলুষিত করতে চায়, ১৪ বছরের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল তাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে।

ভারতে জন্ম নিলেও আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠা ছায়াকরের। ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে এশিয়ান ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। খেলাধুলার দুর্নীতি দমন ইউনিটের সাথে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করার এবং কাজে বাধা দেয়ার জন্যও তাকে দোষী করা হয়েছিল।

ছায়াকর গভর্নিং বডির দুর্নীতিবিরোধী কোড লঙ্ঘনে অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৯ সালে আইসিসির মাধ্যমে বরখাস্ত হওয়া চার খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নাভিদ এবং ব্যাটার শাইমান আনোয়ার বাটকে ২০২১ সালের মার্চে ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। সে বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা কাদির আহমেদকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। উইকেটরক্ষক ব্যাটার গুলাম শাব্বিরকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কোডের ছয়টি ধারা লঙ্ঘনের জন্য ৪ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।