বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর শিরোপা উঁচিয়ে ধরার স্বস্তি, মেসি-ডি মারিয়াদের স্বপ্নযাত্রাটা সহজ ছিল না। সফলতা আসে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে। আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বসেরা হওয়ার অগ্রণী এক কারিগর ছিলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মেসির ভরপুর প্রশংসাবাক্য যার জন্য বরাদ্দ থাকছে সবসময়ই।
উল্লাসের মাস দেড়েক পেরিয়ে বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনার এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে অনেক বিষয়েই বলেছেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি। স্মরণ করেছেন স্বপ্ন ধরা দেয়ার হরেক গল্প।
শিরোপার মঞ্চে ৮০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল মেসিবাহিনী, তার ঠিক দুই মিনিটের মধ্যে সমীকরণ উল্টে দেন এমবাপে। ফরাসিরা সমতা ফেরায়। ম্যাচে ফেরে দিদিয়ের দেশমের দল।
অতিরিক্ত সময়ে মেসির আরেকটি গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। পরে আবারও সমতায় ফেরান কাইলিয়ান এমবাপে। তখন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নটাই ম্লান হতে বসেছিল লিওনেল স্কালোনির দলের।

শ্যুটআউট শুরুর একেবারে আগমুহূর্তে ফরাসি ফরোয়ার্ড মুয়ানির দুর্দান্ত এক শটে ত্রাতা হন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ। পরে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে। সাক্ষাৎকারে সেই মুহূর্তটি স্মরণ করেছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি।
‘সেই ম্যাচটি ভয়ঙ্কর একটি খেলা ছিল। তবে এমন নয় যে, আমরা প্রথমবার খেলছি। বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি ফ্রান্সের বিপক্ষে হওয়ার কারণে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমরা জানতাম আমাদের কি করতে হবে, যা করতে আমরা সক্ষম।’
‘সেসময় সবকিছুই খুব দ্রুত ঘটেছিল। যা ওই মুহূর্তে অনুভব করতে পারিনি। ভিডিও দেখার পর আরও বেশি কষ্ট পেয়েছি। বলটি সেসময় এতটাই দ্রুতগতির ছিল যে, এটি কোথা থেকে বেরিয়ে আসে বোঝা কঠিন ছিল। জানি না কিভাবে তা হল, তবে মার্টিনেজ কাজটা করে দেখিয়েছেন।’