অভাবনীয় উন্নতি সত্ত্বেও এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখনও মানুষের বশে রয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে সেই প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের বন্ধন ও আবেগের সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তাই একটু অদ্ভুত লাগলেও যাদের নিজস্ব সন্তান পাওয়ার উপায় নেই, তাদের জন্য এআই শিশু একটা পথ হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে জানিয়েছে, নারী সঙ্গী ও পোষা প্রাণীর এআই সংস্করণ বাজারে আনার পর এবার এআই শিশু তৈরি করেছেন চীনের বেইজিং ইনস্টিটিউট ফর জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গবেষকরা। টং টং নামক এই শিশু স্বাভাবিকভাবে সংলাপ চালাতে পারে, কনটেক্সট বা প্রেক্ষাপট বুঝতে এবং সংলাপের সময়ে সামঞ্জস্যও বজায় রাখতে পারে।
টং টং-এর বৈশিষ্ট্য হলো, সে শিখতে, মানিয়ে নিতে এবং নিজের ভার্চুয়াল পরিবেশের সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান করতে পারে। এমনকি মানুষের আবেগ শনাক্ত করে প্রতিক্রিয়াও দেখাতে পারে। একটি পরীক্ষায় তার সহজ কিছু ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া গেছে, যেমন- পড়ে যাওয়া তরল পরিষ্কার, বেঁকে যাওয়া ছবির ফ্রেম মেরামত, উঁচু জায়গায় চেয়ার নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। মানুষের নির্দেশ ছাড়াই স্বতন্ত্রভাবে এমন কাজ করছে শিশু।
ডেভেলপারদের মতে, পুরোপুরি উন্নত এজিআই যদি কোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতো হয়, তাহলে টং টং-এর ক্ষমতা চার বছর বয়সি শিশুর সঙ্গে তুলনীয়। তাছাড়া শিশুর মতো চেহারার পেছনে অন্য কারণও রয়েছে। মানুষ অতি বুদ্ধিমান এআই শুনলে ভয় পায়, কিন্তু শিশুদের ভালোবাসে।