চলমান দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মাস্টার ক্লাসে অংশ নিতে শুক্রবার ঢাকায় আসেন ইরানি ছবির বিখ্যাত নির্মাতা মাজিদ মাজিদি। প্রথমবারের মতো তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
চিলড্রেন অব হেভেন, বারান, সং অব স্প্যারো কিংবা দ্য উইলো ট্রির মতো ছবি বানিয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মাজিদি। বলা হয় কিয়ারোস্তামি পরবর্তী ইরানি ছবির সাইনবোর্ড মাজিদি!
দেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসবে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে মাজিদি অংশ নেন একটি মাস্টার ক্লাসে। যে ক্লাসটির জন্য প্রায় দুই মাস ধরে অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের সিনেপ্রেমী তরুণ তরুণী থেকে ইরানি ছবির একনিষ্ট দর্শকটিও।
স্বভাবতই মাজিদিকে কাছে পেয়ে ঢাকার দর্শকরা যেন এদিন প্রশ্নের ঝুরি নিয়ে বসেন! শুধু মাজিদির সিনেমা নয়, ইরানি সিনেমার হালচালের সাথে সাথে সাম্প্রতিক ইরানের রাজনৈতিক বিষয়ও উঠে আসে প্রশ্নে।
বিশেষ করে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভসহ ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির কারাদণ্ড নিয়েও উপস্থিত একজন দর্শক প্রশ্ন রাখেন।
ইরানের সিনেমা নিয়ে সব প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিলেও এসব প্রশ্নে যথেষ্ট বিব্রত বোধ করতে দেখা যায় মাজিদিকে। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতাও প্রকাশ করেন। এসময় সবার উদ্দেশে তার কাজ নিয়ে কথা বলতে আগ্রহের কথা জানান মাজিদি।
মাস্টার ক্লাসের শুরুতে নিজের পরিচয় পর্বে মাজিদি জানান, বাংলা চলচ্চিত্রের বিশ্বখ্যাত নির্মাতা সত্যজিৎ রায় তার অনুপ্রেরণা।
সঞ্চালক বিধান রিবেরু প্রশ্ন করেন, তার সিনেমা ‘চিলড্রেন অব হেভেন’ সিনেমার অনুপ্রেরণা কীভাবে পেলেন, কোন গল্প তাকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণে তাড়িত করেছে? এর উত্তরে মাজিদ মাজিদি বলেন, “একদম সাধারণ মানুষ, সাধারণের জীবনযাত্রার গল্প থেকেই আমি সংগ্রহ করেছি এই গল্প। আসলে আমার সকল গল্পই ডকুমেন্টারির মতো, এগুলো আমার জীবনের অভিজ্ঞতা।”
মাজিদ মাজিদি নিজের সিনেমার নির্মাণ, চরিত্র বাছাই, চরিত্রের জন্য একদম নবীশ অভিনয়শিল্পীদের প্রস্তুত করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।