“আমি অভিনয় করতে আসিনি, শিল্পী সমিতিতে নেতৃত্ব দিতে এসেছি। শিল্পী ও অন্যান্য সংগঠনকে সাথে নিয়ে সরকারের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।”
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুনের প্যানেলে সভাপতি পদে রবিবার সন্ধ্যায় নাম ঘোষণা দেয়ার পর এসব কথা বলেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি।
এর আগে শিল্পী সমিতিতে দুইবার সভাপতি ও দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাহমুদ কলি। সেই প্রসঙ্গে মাহমুদ কলি বলেন, আমাদের অনেক কিছু সীমিত থাকা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাস আছে সামনে অগ্রসর হতে পারব। অতীতে সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। অনেকদিন অভিনয় থেকে দূরে আছি, তারমানে এই নয় যে আমি শিল্পী সমিতি থেকে দূরে আছি।
এদিকে, শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে আবার উত্তেজনা বিরাজ করছে এফডিসিতে। মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুন প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য চালাচালি চলছে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নিপুন সমিতির অফিস ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগর। এর জবাবে রবিবার সন্ধ্যায় নিপুন বলেছেন, নিপুন নামটাই যেন তাদের কাছে সমস্যা! আমি আছি বলে হয়তো গসিপিং হয়েছে।
তিনি বলেন, আলমগীর সাহেব, সুজাতা ম্যাডামদের মতো সিনিয়র শিল্পীরা এলে সমিতিতে বসবে এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচন কমিশন খসরু ভাই সমিতির অফিসে বসা ছিলেন। সমিতির অফিস কক্ষে নয়, স্টাডিরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছি। এটাও যদি সমস্যা হয় নেক্সট থেকে সমিতির বাগানে করবো।
নিপুন আরো জানান, মাহমুদ কলিই তার প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী। শিগগির তিনি তার ২১ সদস্যের পূর্ণ প্যানেলের নাম ঘোষণা করবেন।
আগামী ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। মাহমুদ কলি-নিপুন ও ডিপজল-মিশা প্যানেল ছাড়াও সভাপতি পদে অভিনেতা নানা শাহ’র একাই নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।