আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়াড়ি৷ রাজ্যপাল আস্থা ভোটের নির্দেশ দিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায় এই আস্থা ভোট হবে বলে রাজভবন থেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার সচিবালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এর জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে৷
আস্থা ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতেই গুয়াহাটি থেকে মুম্বাই ফিরছেন একনাথ শিন্ডে এবং তার অনুগামী বিধায়করা৷ এ দিন সকালে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেন তারা৷ তবে সরাসরি নয়, আজ বিকেলে অসম থেকে প্রথমে গোয়ায় পৌঁছবেন বিদ্রোহী বিধায়করা৷ এর পর সিআরপিএফ নিরাপত্তায় আগামিকাল সকালে মুম্বাই পৌঁছবেন তারা৷ উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট, কোনওভাবেই উদ্ধবের দল যেন বিদ্রোহী বিধায়কদের কাছে না ঘেঁষতে পারে, তা নিশ্চিত করা৷
তবে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল আস্থা ভোটের নির্দেশ দিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল৷ সুপ্রিম কোর্টে তারা আবেদন করে জানিয়েছে, বিদ্রোহী ১৬ জন বিধায়ক এখনও সদস্যপদ খারিজ নিয়ে কোনও জবাব দেননি৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের আস্থা ভোটের নির্দেশ বেআইনি বলেই দাবি উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের৷
সুপ্রিম কোর্টই জানিয়েছিল, আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে একনাথ শিন্ডে সহ এই ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে তাদের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে জবাব দিতে হবে৷ শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর দাবি, এই পরিস্থিতিতে আস্থা ভোট হলে তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেরই অবমাননা হবে৷
শিন্ডে শিবিরের কাছে যে সংখ্যক বিধায়ক রয়েছে, তাতে উদ্ধব ঠাকরে সরকার যে সংখ্যালঘু, তা স্পষ্ট৷ এই পরিস্থিতিতে যে কোনও মূল্যে আস্থা ভোট ঠেকাতে মরিয়া উদ্ধব শিবির৷ এই পরিস্থিতিতে সরকার বাঁচাতে হয় কিছু সংখ্যক বিদ্রোহী বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন উদ্ধবের৷ কারণ ডেপুটি স্পিকার চিঠি দিলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের বিষয়টি আটকে গিয়েছে৷
গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ তার পরেই আস্থা ভোটের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল৷ ফলে রাজ্যপালের ভূমিকা কতটা নিরপেক্ষ, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিবসেনা৷