এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
আইপিএলের ইতিহাসে ইনিংসে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বাধিক ২৬১ রান তুলেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চার-ছক্কার বৃষ্টির ম্যাচে পাহাড়সম পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না তাদের। ৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাঞ্জাব সুপার কিংস। শুধু আইপিএল নয়, যেকোনো ধরনের টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রানতাড়ায় রেকর্ড গড়েছে পাঞ্জাব।
ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান তোলে কলকাতা। যা আইপিএল ইতিহাসের সপ্তম ও নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ দলটির। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারস্টোর দুর্দান্ত শতকে ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ৪৮ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো। ২৮ বলে ৬৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন শশাঙ্ক সিং।
টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ডটি ছিল ২০২৩ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছিল সাউথ আফ্রিকা। টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কাও হয়েছে পাঞ্জাব-কলকাতার ম্যাচে। সবমিলিয়ে ৪২টি ছক্কা মেরেছে দুদল। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৮টি ছক্কা। সেটি হয়েছিল চলতি আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচে।
আইপিএলের ইতিহাসে ২০২০ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দেয়া ২২৩ রান তাড়া করে জিতেছিল রাজস্থান রয়্যালস। এর আগে যেটি ছিল আইপিএলের সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। দুজনের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লেতে আসে ৭৬ রান। ৮ ওভারেই তিনঅঙ্ক ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিক দল।
রাহুল চাহারের বলে ৩২ বলে ৭১ রান করে সুনীল নারিন ফিরলে ওপেনিং জুটি ভাঙে ১৩৮ রানে। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় এ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। তাতে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন নারিন।
নারিনের সঙ্গে সমানতালে ব্যাট চালান সল্ট। ছয়টি করে চার ও ছক্কার মারে ৩২ বলে ৭৫ রান করেন ২৭ বর্ষী ইংলিশ তারকা। দুই ওপেনারের গড়ে দেয়া ভিতে দাঁড়িয়ে বোলারদের উপর তাণ্ডব চালায় মিডলঅর্ডার।
পাঁচে নেমে ১২ বলে ২৪ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। শ্রেয়াস আয়ারের ব্যাটে আসে ১০ বলে ২৮ রান। ২৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ আয়ার।
পাঞ্জাবের হয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন অধিনায়ক স্যাম কারেন। ৪ ওভার বল করে ৬০ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়েছেন।
কলকাতার মতো শুরুটা দারুণ করে পঞ্জাবও। প্রভসিমরন সিং ও জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটিতে আসে ৯৩ রান। পাওয়ার প্লের মধ্যে শুধু উইকেট তুলতে সফল হয় কলকাতা। ২০ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন পঞ্জাবের ওপেনার প্রভসিমরন সিং।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বেশ থিতু হয়ে যান জনি বেয়ারস্টো এবং রাইলি রুশো। এই জুটিকে দীর্ঘক্ষণ টলাতে পারেননি দুশমন্ত চামিরা, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল। ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন করেন শ্রেয়াস আয়ার। নারিনকে আক্রমণে আনতেই দ্বিতীয় উইকেট আসে কলকাতার ঝুলিতে। ৩৯ বলে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন জনি বেয়ারস্টো এবং রাইলি রুশো। পরে বেয়ারস্টো ও শশাঙ্ক অবিচ্ছিন্ন ৮৪ রানের জুটিতে জয়ে নোঙর করেন। বেয়ারস্টো ১০৮ ও শশাঙ্ক ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন।