কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রেমের কারণে এক কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরের নাম মো. রাকিবুল হাসান (১৭)। সে কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের কড়িয়াইল গ্রামের কৃষি শ্রমিক বাবুল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত ১০ মাস যাবত একই এলাকার আব্দুল্লাহ’র পোল্ট্রি ফার্মে শ্রমিকের কাজ করত। কাজের কারণে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই আব্দুল্লাহ’র বাড়িতে যেত রাকিব। সেই সুবাদে আব্দুল্লাহ’র বড় ভাই তাজুল ইসলামের মেয়ের সাথে রাকিবের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর মানতে পারেনি প্রেমিকার পরিবার।
এরই জেরে প্রেমিক রাকিবকে গত ৩ মে রাতের কোন একসময় ডেকে নিয়ে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে পোল্ট্রি ফার্ম থেকে একটু দূরে আমড়া গাছে ঝুলিয়ে রাখে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন।
বুধবার (১০ মে) সকালে ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে রাকিবুল হাসান হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন হয়। সেই মানববন্ধনে বক্তারা এসব অভিযোগ করেন।
বক্তরা আরও বলেন, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। রাকিবের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত রাকিবের মা রহিমা খাতুন বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপরই প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ইতোমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে প্রেমিকা। মানববন্ধনের মাধ্যমে দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান স্থানীয়রা।
এসময় কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বদর উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল আলম ভূইয়া, আলহাজ্ব ওয়াজেদুল ইসলাম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম ও রাকিবের স্কুলের সাবেক সহপাঠিরা বক্তব্য রাখেন।
গত ৩ মে রাতে আব্দুল্লাহ’র পোল্ট্রি ফার্ম থেকে নিখোঁজ হয় শ্রমিক রাকিবুল হাসান। নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাকিরেব সন্ধান মেলেনি। পরদিন ৪ মে পোল্ট্রি ফার্ম থেকে একটু দুরে আমড়া গাছের ডালে রাকিবের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।