শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। শনিবার ভোরে জানা যায় এবারের নির্বাচনের ফলাফল। এরপর নির্বাচনের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে এফডিসি হয়ে উঠে আন্দোলন মুখর!
শুধু তাই নয়, সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পরাজিত নিপুণ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে লিপ্ত হন জায়েদ-নিপুণ। নির্বাচন কেন্দ্রীক এমন উত্তাপের মধ্যেই বুধবার প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা যায় শিল্পী সমিতির এবারের বিজয়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে।
চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে এদিন অতিথি হয়ে আসেন কাঞ্চন-জায়েদ। রাজু আলীমের প্রযোজনায় দিলরুবা সাথীর উপস্থাপনায় সরাসরি এই অনুষ্ঠানে ছিলেন অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন পরবর্তী শিল্পী সমিতির কর্মপদ্ধতি সহ চলচ্চিত্রের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তার আগে চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে হেরে যাওয়া সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণকে নতুন কমিটির উপদেষ্টা পরিষদে কোনোভাবে যুক্ত করার সুযোগ আছে কিনা, জানতে চাইলে কাঞ্চন বলেন, ‘এ বিষয়ে নিপুণের সাথে নয় শুধু, মিশা সওদাগরের সাথেও আমি কথা বলেছি। এখন নির্বাচিত কমিটির কাছে আমার প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবো, তারা রাজি হলে অবশ্যই মিশা-নিপুণ উপদেষ্টা পরিষদে থাকবেন।’
শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন আশঙ্কা করেছিলেন অন্য প্যানেল থেকে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান তাকে কাজে কর্মে সমর্থন দিবেন কিনা! চ্যানেল আইয়ের সরাসরি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জায়েদ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাঞ্চন ভাইয়ের সাথে আমি দুই টার্ম ধরে কাজ করছি। তিনি আমাদের উপদেষ্টা ছিলেন। যে কোনো সংকটের কাঞ্চন ভাই কিন্তু এগিয়ে আসছেন। আমাদের সাথে কাজ করেছেন। করোনাকালীনও কাঞ্চন ভাই আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি আমাদের কাছে কিংবদন্তী। সেই কাঞ্চন ভাই এখন শুধু বিজয়ী ২১ জনের নয়, পুরো ৪২৮ জন শিল্পীর অভিভাবক। তার যে কোনো নির্দেশ, আদেশ আমরা মেনে নিয়ে কাজ করবো। এখন কোনো দুই প্যানেল বা তিন প্যানেলের কেউ নেই, এখন সমস্ত শিল্পী একটা পরিবার। সেটা ২৮ জানুয়ারির পর শেষ হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ৪২৮ জন ভোটারের মধ্যে ৩৬৫ জন ভোটার উপস্থিত হয়েছেন। ২১টি পদে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করেন।