শ্বাসকষ্ট, গলায় ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গানের ফেরিওয়ালা খ্যাত বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী কবীর সুমন। এমন খবরই দিয়েছে কলকাতার শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
রবিবার মধ্যরাত থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় কবীর সুমনের। তারপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ি কবীর সুমনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কবীর সুমনের ঘনিষ্টসূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত চারদিন ধরে গলায় অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন কবীর সুমন। এমনকি ঢোকও গিলতে পারছিলেন না শিল্পী। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল তার। তবে করোনার পরীক্ষা করাননি তিনি। পরবর্তীতে রবিবার রাতে গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যায়, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও নেমে গিয়েছিল কবীর সুমনের। চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্তের তত্ত্বাবধানে শিল্পীর চিকিৎসায় ২ সদস্যের মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে ৭০ এর বেশী বছরের এই শিল্পীর। তবে রিপোর্ট এখনও আসেনি।
সোমবার ভোরবেলা শিল্পীর আরটিপিসিআর টেস্টও করা হয়। এখনও পর্যন্ত তার রিপোর্ট চিকিৎসকদের হাতে আসেনি বলে জানানো হয়ে এক প্রতিবেদনে। তবে বুকের এক্সরে-তে ফুসফুসের নিম্নভাগে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক চলছে কবীর সুমনের।
শিল্পীর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। গলায় ব্যথা থাকায় শক্ত খাবার খেতে পারছেন না তিনি। আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন চিকিৎসকরা।
একজন ভারতীয় বাঙালি গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা, বেতার সাংবাদিক ও গদ্যকার। তার পূর্বনাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। ২০০০ সালে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি তার পুরনো নাম পরিত্যাগ করেন।
সুমন একজন বিশিষ্ট আধুনিক ও রবীন্দ্রসংগীত গায়ক। ১৯৯২ সালে তার ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি বাংলা গানে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। তার স্বরচিত গানের অ্যালবামের সংখ্যা পনেরো। সংগীত রচনা, সুরারোপ, সংগীতায়োজন ও কণ্ঠদানের পাশাপাশি গদ্যরচনা ও অভিনয়ের ক্ষেত্রেও তিনি স্বকীয় প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। তিনি একাধিক প্রবন্ধ, উপন্যাস ও ছোটোগল্পের রচয়িতা এবং হারবার্ট ও চতুরঙ্গ প্রভৃতি মননশীল ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের রূপদানকারী।