ফুটবলারদের ট্রান্সফার সংক্রান্ত লেনদেনে জুভেন্টাসের ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) নীতি ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে উয়েফা। যে কারণে সিরি আ’র ক্লাবটিকে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করেছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসিকে ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।
২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ক্লাবটি আর্থিক নিয়ম ভাঙার প্রমাণ মেলায় শুক্রবার এই শাস্তি দেয় ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত জানুয়ারিতেও দলবদলের সময় আর্থিক বিবরণীতে অনিয়ম থাকায় জুভেন্টাসের ১৫ পয়েন্ট কাটা পড়েছিল। সেসময় তারা সিরি আ’র পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে পড়ে বড় ধাক্কা খায়। তিন নম্বর থেকে নেমে আসে দশে। পরে বেশকিছু ম্যাচে জয়ের ফলে আটে উঠে আসে অ্যাল্লেগ্রির দল। সেসময় দলটির পয়েন্ট কেটে নেয়ার সঙ্গে সাবেক সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লিসহ ১১ জন সাবেক-বর্তমান পরিচালককেও বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
সিরি আ-তে গত মৌসুমে সপ্তম স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছিল জুভেন্টাস। এতে অবশ্য জায়গা মেলেনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপায়। তৃতীয় স্তরের টুর্নামেন্ট কনফারেন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইতালিয়ান ক্লাবটি। কিন্তু পুরনো ওই অপরাধের শাস্তি হিসেবে এবার সেটাও হারাল দলটি।
একই অভিযোগে ২০১২-১৯ সালের মধ্যে জমা দেয়া ভুল আর্থিক তথ্যের জন্য ১০ মিলিয়ন ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে উয়েফা। গত বছরের মে মাসে ‘ক্লাবের পূর্বের মালিকানার অধীনে অসম্পূর্ণ আর্থিক প্রতিবেদন’ দেয়া হয়েছে বলে জানায় উয়েফা।
ক্লবাটি ২০১২ এবং ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও নতুন মৌসুমের কোনো ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার যোগ্যতা অর্জন করেনি।
আগামী তিন মৌসুম যদি জুভেন্টাস আর্থিক লেনদেনে এফএফপির আইন মেনে চলে, তবে তুরিনের বুড়িদের শাস্তি কিছুটা কমতে পারে। সেক্ষেত্রে জরিমানার অর্ধেকটা দিলেই চলবে। চেলসি অবশ্য এরই মধ্যে জরিমানার পুরোটা দিতে সম্মত হয়েছে।