প্রশাসনের লিখিত আশ্বাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনশনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয় অনশন ভেঙেছে। বৃহস্পতিবার ৮ জুন সকাল সাড়ে ১১ টায় মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলমের উপস্থিতিতে লিখিত শর্তসাপেক্ষে পানি পানের মাধ্যমে অনশন ভাঙেন তিনি।
শর্তগুলো হলো- হলে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থী ও আসন সংখ্যার তালিকা তৈরি, ১৫ দিনের মধ্যে ফাঁকা কক্ষগুলো প্রশাসনিকভাবে সিলগালা করা, যেসব আসনগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে তাদের আসনে বৈধ শিক্ষার্থীদের তুলে দেওয়া ও তার তালিকা প্রকাশ, মেয়াদোত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা, সকল বিষয়ে হল প্রশাসন সাংবাদিকদের তথ্যের আপডেট দিয়ে সহযোগিতা করা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করলে প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবে।
শর্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে এই মর্মে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর দিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম।
অনশন ভাঙার পর প্রত্যয় বলেন, ‘প্রশাসন এতদিন ধরে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ দেখাতে পারেনি। প্রভোস্ট স্যার খসড়া তালিকা দেখিয়েছেন৷ আমার তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের কর্ম পরিকল্পনা মেনে নিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আমি অনশন ভেঙেছি। যদি কথা না রাখেন আমি পরবর্তীতে ফের কর্মসূচিতে যাব।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টার সময় আমার ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পানি পান করে প্রত্যয় অনশন ভাঙে। আমরা দু’জনই কয়েকটি শর্তে একটি চুক্তি করেছি। তার দাবিগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে গণরুম বিলুপ্তি, অছাত্রদের উচ্ছেদ, বৈধ শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন প্রত্যয়। প্রত্যয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী।