চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘জয় বাংলা’ আওয়ামী লীগের নয়, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান: বিচারপতি এনায়েতুর রহিম

রিদুয়ান ইসলাম: ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি শুধু আওয়ামী লীগের স্লোগান নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম। বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘১৯৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: গবেষণা প্রকাশনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার তাৎপর্য’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এম. এনায়েতুর রহিম বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, কৃষক, শ্রমিক সকলেই যুদ্ধ করেছে। যুদ্ধের স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই স্লোগানটিকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণায় হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হল।’

আপিল বিভাগের এ বিচারপতি বলেন, ‘পূর্ব বাংলায় বাঙ্গালিদের একটি জনপদ থাকুক পাকিস্তান চায়নি। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালিদের সার্বিক মুক্তি চেয়েছিলেন এবং তা অর্জন হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে তা বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধাগ্রস্ত করে।’

বিচারপতি আরও বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ট্রাইব্যুনাল বিশ্বে অন্যান্য বিচার ব্যবস্থার তুলনায় অনেক দ্রুততার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। বাঙালিকে ধর্ম দিয়ে বিভক্তিকরণের চেষ্টা সবসময়ই অব্যাহত ছিল কিন্তু তারপরও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।’

এনায়েতুর রহিম আরও বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা বা জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিতে হবে; এটা নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ছড়িয়ে দিতে হবে-আমরা জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেলাম কি পেলাম না, সেদিকে না তাকিয়ে আমাদের দাবি তুলে ধরতে হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন।

সেমিনারে প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ জাকারিয়া মিয়া। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষকা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।