সম্প্রতি পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা এবং তার সঙ্গিনী প্যারিসের বাড়িতে ডাকাতের হামলার শিকার হয়েছেন। এসময় ডাকাতরা তাদের ফ্ল্যাটের ভেতর বেঁধে রেখেছিল। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ইতালির গোলরক্ষক। তুলে ধরেছেন সেসময়ের অসহায়ত্বের কথা।
‘রাত তিনটায় বাড়িতে হঠাৎ করে তাদের দেখতে পাওয়া, আমার মনে হয়, এটি সবচেয়ে খারাপ অনুভূতি। আমাকে বেঁধে রেখে, অ্যালেসিয়াকে আমাদের মূল্যবান সবকিছু দিতে বাধ্য করেছিল তারা। আমি বাসায় যেতে পারছি না, কারণ তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য আমাদের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে যেতে হয়েছে, আমরা একটি হোটেলে থাকছি।’
‘অ্যালেসিয়ার জন্য খুব ভয় পেয়েছিলাম, যদি তার সাথে কিছু ঘটে যায়। অসহায় ছিলাম, কিছুই করতে পারিনি। আমি ফ্রেঞ্চ ভাষা পুরোপুরি আয়ত্ত না করতে পারায় তাদের জিনিসগুলোর অবস্থান বোঝানো কঠিন ছিল।’
শুক্রবার রাত ৩টার দিকে দোন্নারুম্মার বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ৫ লাখ ইউরো সমপরিমাণ মূল্যের গহনা এবং অন্যান্য বিলাসবহুল সামগ্রী নিয়ে গেছে। ঘটনায় দোন্নারুমা অল্প আহত হয়েছেন। তার সঙ্গিনী মডেল অ্যালেসিয়া এলিফ্যান্টে অক্ষত ছিলেন।
দুবছর আগে প্যারিসে আসেন ২৪ বর্ষী ইতালিয়ান গোলরক্ষক। পিএসজির প্রথম প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচের জন্য জাপান সফরের আগে শুক্রবার তার স্কোয়াডে যোগ দেয়ার কথা ছিল।
এর আগে ২০২১ সালের মার্চে পিএসজির ফুটবলার মার্কুইনহোসের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দুজনকে জেলে যেতে হয়েছিল। সেসময় মার্কুইনহোস খেলায় ব্যস্ত থাকায় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। কিন্তু তার বাবা ও দুই কিশোরী মেয়ে বাড়িতে ছিলেন। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের বাবার মুখে এবং পাঁজরে ডাকাতরা আঘাত করেছিল। একইদিনে মার্কুইনহোসের সতীর্থ অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার বাড়িতেও চুরি হয়েছিল।