মৌসুম শুরুর আগে হাতে আছে বেশ সময়। দলের কোথায় ঘাটতি, উন্নতিই বা কোথায় করতে হবে- এসব পরখ করে নেওয়ার বড় সুযোগ ছিল ইন্টার মিয়ামির বিপক্ষে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তাতে লেটার মার্ক তুলেছে বার্সেলোনা। ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মিয়ামিকে।
নিয়মিত কোচ জাভি হার্নান্দেজ দলের সাথে যোগ দিতে পারেননি ভিসা জটিলতায়। দালের দায়িত্বভার অর্পিত হয় সহকারী কোচ জাভির বড় ভাই অস্কার হার্নান্দেজের উপর। এক ম্যাচের জন্য দায়িত্ব পেলেও মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। তার অধীনে মিয়ামিকে কোনো সুযোগই দেয়নি শিষ্যরা।
মিয়ামির ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বার্সাকে দেখা গেছে এদিন। তবে শুরুতে বার্সার আক্রমণ বেশ সামাল দিচ্ছিল নেভিলের শিষ্যরা। তবে খুব বেশি সময় বার্সা সমর্থকদের অপেক্ষায় রাখেননি অস্কার শিষ্যরা। ১৯ মিনিটে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং।
এ ম্যাচেই বার্সার হয়ে অভিষেক হয় ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহার। ২৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে নিয়ে নিজের পদচিহ্ন রাখেন ২৫ বর্ষী উইঙ্গার। বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোল করে দলকে শক্ত অবস্থানে রেখে যান আনসু ফাঁতি।
দ্বিতীয়ার্ধে নামার পারও আক্রমণের ধারা বজায় রেখেছে বার্সা। সাফল্যও মিলেছে তাতে। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন ১৭ বর্ষী গ্যাভি। ৬৯ ও ৭০ মিনিটে আরও দুই গোল করেন মেমফিস ডিপাই ও উসমানে ডেম্বেলে। তাতে কোমর ভেঙে যায় মিয়ামির। এরপর বাকি সময় দলের প্রায় সব ফুটবলার রক্ষণ সামলাতে নিচে নেমে আসেন। তাতে সাফল্য মিলেছে হজম করতে হয়নি আর কোনো গোল। তবে তার আগেই ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে মিয়ামি।