এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
২০০৭ সালে সাউথ আফ্রিকায় হওয়া প্রথম টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ডানহাতি পেসার শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। ছোট সংস্করণে ভারতের হয়ে প্রথম শিরোপা জেতা শ্রীশান্ত দলে কেমন ছিলেন, সেটি তুলে ধরেছেন।
৪১ বর্ষী শ্রীশান্তের জন্ম সাউথ ইন্ডিয়ার কেরালায়, যা তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। এজন্য এ পেসারকে ক্যারিয়ারজুড়ে ‘মাদ্রাসি’ বলে ডাকতেন সতীর্থরা। মাদ্রাসি হল একটি আঞ্চলিক গালি, যা দক্ষিণ ভারতের, প্রধানত তামিলনাড়ুর আদিবাসী বা বাসিন্দাদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হওয়া শ্রীশান্তের দাবি, ‘আমার পুরো জীবনজুড়ে, আমি এটা বলতে পারব। এটা শুনছি যখন অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬ বা অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছি, তখন থেকে। এরপর যখন কোচি টাস্কার্স কেরালার হয়ে খেলতে নামলাম, মনে হচ্ছিল দেশের হয়ে আবার খেলছি।’ তবে ওই দলটি অর্থ পরিশোধ করেনি বলে দাবি শ্রীশান্তের।
আইপিএল থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ওই দলের পাওনা অর্থ নিয়ে বলেছেন, ‘দয়া করে আপনাদের বকেয়া পরিশোধ করুন। আপনারা যেখানেই শোধ করুন, প্রতিবছর ১৮ শতাংশ সুদের কথা মনে রাখবেন। ওই দলের সাথে তিন বছর চুক্তি হওয়ার কথা, কিন্তু প্রথম বছরেই দলটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এখনও যখন ওইসব খেলোয়াড়দের সাথে দেখা হয়, তারা পাওনা নিয়ে কথা বলে।’
কেরালার এ পেসার ভারত জার্সিতে ২৭টি টেস্ট, ৫৩টি ওয়ানডে এবং ১০টি টি-টুয়েন্টি খেলে মোট ১৬৯ উইকেট শিকার করেছেন।