অনেক নাটকীয়তার পর হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপের ভেন্যু চূড়ান্ত হলেও, বিশ্বকাপ নিয়ে জটিলতা কাটেনি পাকিস্তানের। ভারতে হতে চলা ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে দেশটির ক্রিকেট দল ভারতে যাবে কিনা, সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়। সম্ভাব্য সবদিক খতিয়ে দেখছে দেশটির সরকার। মূল্যায়নের পর বাবর আজমের দলের মিলতে পারে ভারতে খেলতে যাওয়ার অনুমোদন।
আসছে অক্টোবরে ভারতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসর। বল মাঠে গড়াতে চার মাসের কম সময় বাকি। কিন্তু এখনও বিশ্বকাপ সূচি প্রকাশ করতে পারেনি আয়োজক দেশটি। টুর্নামেন্টের খসড়া সূচি আইসিসিকে পাঠালেও পাকিস্তান অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিশ্চিত করেনি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নাজাম শেঠি কয়েকসপ্তাহ আগে দুবাইতে বৈঠকে জানিয়েছিলেন, দুদেশের সরকারের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ভারত টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তান সফর করবে না। পরে হাইব্রিড মডেল উপস্থাপন করে পিসিবি। যেখানে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হবে লাহোরে। ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। যদি ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হয়, সেটিও হবে লঙ্কানদের মাটিতে।
এবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিশ্বকাপ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশ নেয়ার সম্ভাবনার সবদিক বিবেচনা করে দেখছে। পাকিস্তান বোর্ড থেকে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আসার বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড লিখিতভাবে সম্মতি দিলেই কেবল তারা ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে দল পাঠাবে। এমনকি এশিয়া কাপের হাইব্রিড মডেলে পিসিবি সম্মতি দেয়ায় নাখোশ হয়েছে পাকিস্তান সরকার।
বিশ্বকাপের খসড়া সূচি নিয়েও আপত্তি আছে পিসিবির। দুটি ভেন্যু পরিবর্তন আনার দাবি তারা জানিয়েছে আইসিসি, চিঠিও পাঠিয়েছে। খসড়া সূচি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে খেলবে পাকিস্তান, আফগানিস্তানের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে। সেখানে পিসিবির চায়, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচটি চেন্নাইয়ে আর আফগানদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে খেলতে। দুই ভেন্যুর পরিবর্তন করলে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামতে পারবে বলে মনে করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
নিরাপত্তাজনিত কারণ ছাড়া ভেন্যু পরিবর্তন করা হয় না, এমন জানিয়ে সেই আবেদন আইসিসি ও বিসিসিআই যৌথভাবে নাকোচ করে দিয়েছে।