ভুটানের জালে প্রতিপক্ষের গোল উৎসবে মেতে ওঠা যেন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। হিমালয়ের দেশটিকে এবার ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। হ্যাটট্রিকসহ একাই পাঁচ গোল করেছেন শিলজি শাহজি।
মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলা ভুটান ৪ ম্যাচে ৩১ গোল হজম করে বাড়ি ফিরছে।
স্কোরলাইন যদিও সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। ভারতের মেয়েরা পাসিং ফুটবল না খেলে অসংখ্য দূরপাল্লার শট নেয়ার প্রতিযোগিতায় মাতে। এতে অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়েছে বল, বারে লেগে ফিরেছে। ভুটান আরও বেশি গোলে হারের মাঝে ডোবা থেকে বেঁচেছে তাতে।
রোববার দুপুরে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচে স্কোয়াডে থাকা তিন গোলরক্ষকের সবাইকেই খেলিয়েছে ভুটান। ১৫ মিনিটে সোনামের পরিবর্তে মাঠে নামেন গোলরক্ষক দীক্ষা রাই। প্রথমার্ধের শেষদিকে দীক্ষা মাথায় আঘাত পাওয়ায় বদলি খেলতে আসেন শেরিং ইয়াংজোম।
তৃতীয় মিনিটেই গোল পায় ভারত। বক্সের বেশ বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নেন মেনেকা লৌরেমবাম। ভুটান গোলরক্ষক সোনাম ছোডেন লাফালেও বল গ্লাভসে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
দশম মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে চানু তইজাম দূরপাল্লার শট নেন। খানিকটা সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভুটান গোলরক্ষক বলের ফ্লাইট মিস করেন। অল্পের জন্য বল পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয় গোল পেতে ভারতকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। বক্সের ভেতর থাকা পূজার পাসে বল নিয়ে দূরপাল্লার শটে ১২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন নেপালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পাওয়া শিলজি শাহজি।
দীক্ষা সহজ বল ধরতে ব্যর্থ হলে ৩৮ মিনিটে পূজা বল জালে পাঠান। অফসাইডে কারণে গোল বাতিল হয়। ৪২ মিনিটে পূজার ক্রস ক্লিয়ার করতে পারেননি প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার। বল নিয়ে প্লেসিং শটে ভারতকে তিন গোলের লিড পাইয়ে দেন শিভানি দেবী।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ভুটান। কর্নার কিক থেকে আসা বল থেকে নিশানাভেদ করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত দীক্ষার মাথা বরাবর কিক মেরে বসেন পূজা। গুরুতর চোট পাওয়া দীক্ষার পরিবর্তে তৃতীয় গোলরক্ষক ইয়াংজোমকে নামাতে বাধ্য হন ভুটান কোচ।
বিরতির পর ৫৬ মিনিটে কর্নার কিক থেকে ব্যাক ফ্লিক করেন মেনেকা। তার পেছনে থাকা থইবিসানা চানু তইজাম হেডে লক্ষ্যভেদ করলে ভারত গোলের হালি পূর্ণ করে।
পাঁচ মিনিট পর বক্সের ভেতর শিলজির ক্রসে বল পেয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন শিভানি। খানিক পর বক্সের একটু বাইরে থেকে নেয়া কিকে বল জালে জড়িয়ে জোড়া গোলের দেখা পান শিলজি। ৬৯ মিনিটে ডান পায়ের দুরন্ত শটে শিলজি আসরে দ্বিতীয়বারের মতো হ্যাটট্রিক করেন।
ম্যাচের ৭৬ মিনিটে কর্নার কিকে পাওয়া বল হেডে লক্ষ্যভেদ করে শিলজি, গোলের হালি পূরণ করেন। তিন মিনিট পর পঞ্চম গোলের দেখাও পেয়ে যান। গোলবন্যার ম্যাচে বাকি সময়ে আর গোলের দেখা মেলেনি।