হারলে সিরিজ হাতছাড়া, জিতলে সমতায় ফেরার সুযোগ। মিরপুরে এমন সমীকরণের ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে ১০৮ রানের বড় ব্যবধানে হারাল ভারত। আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত সিরিজটির ফল নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে আগামী শনিবার।
প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের আশা জাগায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচেই হতাশ করল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষে তালগোল পাকিয়ে ১২০ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক দল।
ভারত: ২২৮/৮ (৫০ ওভার), বাংলাদেশ: ১২০/১০ (৩৫.১ ওভার)
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে উইকেট বদলাতেই ভারতীয় ব্যাটিং খোলস ছেড়ে বের হয়। জামিমাহ রদ্রিগেজের ৭৮ বলে ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে দুইশ পেরোনো পুঁজি পায় সফরকারী দল। বোলিংয়েও বাংলাদেশকে ভোগান এ অলরাউন্ডার। ৩.১ ওভারে ৩ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। দেভিকা নেন তিন উইকেট।
৩৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ফারজানা হক পিংকি ও রিতু মনি জুটি গড়ে লড়াইয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশকে। দলের রান একশ পেরোয় ৩ উইকেট হারিয়েই। ৬৮ রানের জুটি ভাঙতেই গুঁড়িয়ে যায় টিম টাইগ্রেস। ১৪ রানে শেষের ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিক দল।
ফারজানা ৮১ বলে ৫টি চারে ৪৭ ও রিতু ৪৬ বলে ২৭ রান করে ফেরেন। ওপেনার মুর্শিদা খাতুন হ্যাপি করেন ১২ রান। বাকি কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারই ফেরেন সাজঘরে। শারমিন আক্তার সুপ্তা ৯ বলে ২ ও মুর্শিদা খাতুন হ্যাপি ১৯ বলে ১২ রান করে আউট হন।
প্রথম ওভারের প্রথম তিন বলে দারুণ দুটি কাভার ড্রাইভে চার মেরে ভালো শুরুর আশা জাগিয়েছিলেন মুর্শিদা। দলীয় ১৪ রানে মেঘনা সিংয়ের বলে স্মৃতি মান্দানার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। তার আগে দীপ্তি শর্মার বলে এলবিডব্লিউ হন শারমিন।
ফারজানার সঙ্গে লতা মণ্ডলের জুটিতে আসে ২৪ রান। দলীয় ৩৮ রানে ফেরেন লতা। করেন ৯ রান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটি আশা দেখায় বাংলাদেশকে। জুটিটি ভাঙতেই এলোমেলো হয়ে পড়ে টাইগ্রেস ব্যাটিং।
বড় রান তাড়ায় ৬ নম্বরে নামেন জ্যোতি। অধিনায়ক টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ফেরেন ৩ রান করে। ফাহিমা খাতুন ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তোলে ভারত। জামিমাহ রদ্রিগেজ ৭৮ বলে ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মারেন ৯টি বাউন্ডারি। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ৮৮ বলে করেন ৫২ রান। ওপেনার স্মৃতি করে যান ৩৬ রান। শেষদিকে নেমে হারলিন দেওল ২৬ রান করেন।
টাইগ্রেস স্পিনার সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান।