চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রবাসে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ২৬ র্মাচ ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩’ উদযাপিত হয়েছে। 

মোশাররফ হোসেন, কুয়েত থেকে:

রোববার ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩’ উদযাপন করেছে বাংলাদশে দূতাবাস, কুয়েত। এই উদযাপনে সভাপতিত্ব করেন মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আবুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ।

এদিন প্রত্যুষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকল শহিদ ও মহান স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এছাড়াও দূতাবাসের হলরুমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন। বাণী পাঠ শেষে দিবসের উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

মোহাম্মদ মাহামুদুল, মালদ্বীপ থেকে:
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ  উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাই  কমিশন, মালদ্বীপ কর্তৃক  ‘মহান স্বাধীনতা  ও জাতীয়  দিবস’  উদযাপন করা হয়েছে।
এদিন সকালে দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। এরপর হাইকমিশনার এর নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাগণ ও মালদ্বীপের বিভিন্ন সংগঠনের নেত্রীবৃন্দের উপস্থিতিতে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
পরে সকাল ১০টার আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করেন মাওলানা তাইজুল ইসলাম। এরপর মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা, মিশনের এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (একাউন্টস) শিরিন ফারজানা, কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান, ও কনস্যুলার সহকারী ময়নাল হোসেন। দিনটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে মিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মো. সোহেল পারভেজ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
 প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন ব্যবসায়ী সোহেল রানা এবং ভিউ কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এর সিও দুলাল হোসেন। পরে বড় পর্দায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনা মা-বোনদের অপরিসীম ত্যাগ ও ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার্ঘ্য চিত্তে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে তৎকালীন প্রবাসীদের জনমত গঠনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
এছাড়াও মালদ্বীপে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের উন্নয়নে ও ২০৪১ সালে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী ব্যক্তিবর্গ ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

 

রুমী সাঈদ, জেদ্দা থেকে: 

যথাযথ মর্যাদার সাথে সৌদিআরবের জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটে পালন করা হয়েছে বাংলাদেশের ৫৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীপাঠ করেন কনস্যুলেটের পদস্থ কর্তাগণ।

এ দিন সকালে কনস্যুলেট চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক। অস্থায়ীভাবে নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন সংগঠন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল।

জাতির পিতা ও তার পরিবাবের সদস্যবর্গসহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে করা হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।