আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন সিইও চন্দা কোচর এবং তার স্বামী দীপক কোচরকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
চন্দা ওই ব্যাঙ্কের প্রধান থাকাকালীন ভিডিওকন গ্রুপকে দেওয়া হয়েছিল তিন হাজার কোটিরও বেশি ঋণ। সেই অনিয়ম মামলায় অভিযুক্ত তারা। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দা।
২০১৮ সালের অক্টোবরে আইসিআইসিআই ব্যাংকের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ৫৯ বছর বয়সি চন্দা। কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এবং তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী সংস্থা ভিডিওকন গ্রুপকে ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয় তার কার্যকালে।
চন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাঙ্কের আচরণবিধি এবং অভ্যন্তরীণ নীতি লঙ্ঘন করেছিলেন তিনি। এমনকি তার পদত্যাগের সঙ্গেও ওই মামলার যোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণার অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যায়, ২০১২ সালে ভিডিওকন গ্রুপকে তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক। যা একটি অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। এই লেনদেন থেকে চন্দার স্বামী দীপক কোচর এবং তার পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
এই মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভিডিওকনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভেনুগোপালকে। তার অভিযোগ, ভিডিওকন গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার কয়েক মাস পরে নিজের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ন্যুপাওয়ার-এ কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন দীপক।
সিবিআই-এর অভিযোগ, ভিডিওকন গ্রুপকে ঋণ মঞ্জুর করা কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন চন্দা। তিনি নিজের অফিসিয়াল পদের অপব্যবহার করে ৩০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করার জন্য বেনুগোপালের কাছ থেকে স্বামীর জন্য সুবিধা আদায় করে নিয়েছিলেন।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংকে কাজ করেছিলেন চন্দা। দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলা ব্যাংকারদের মধ্যে হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।