ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে রওনা হয়। লক্ষ্মীপুরে নিজ গ্রামে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন এই অভিনেত্রী।
তারআগে জুম্মার নামাজের পর চ্যানেল আইয়ের মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় হিমুর। এসময় সবার উদ্দেশে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি ও অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম বলেন, হিমুর কাছে যদি কোন দেনাপাওনা থাকে তাহলে অভিনয় শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করা হবে। তার শান্তি কামনা করে সবার কাছে দোয়া চান তিনি।
জানাজা শেষে হুমায়রা হিমুকে চ্যানেল আই চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানানো হয় শেষ শ্রদ্ধা। যেখানে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শোক প্রকাশ করে গণমাধ্যমের উদ্দেশে এসময় কথা বলেন অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, এস এ হক অলিক সহ শোবিজ অঙ্গনের বহু তারকা মুখ। চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ইজাজ খান স্বপন।
হিমুর মৃত্যুকে শুরু থেকেই ‘রহস্যজনক’ হিসেবে দেখছে অভিনয় শিল্পী সংঘ। সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম জানিয়েছেন, হিমুকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেটা বলা যাচ্ছে না।
এরইমধ্যে শুক্রবার সকালে হুমায়রা হিমুর বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর পর থেকে জিয়াউদ্দিন পলাতক ছিলেন। তিনি রুফি নামেও পরিচিত। বিকেলে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন হুমায়রা হিমু। ছোটপর্দার পাশাপাশি সিনেমাতেও তার উপস্থিতি দেখা গেছে। মোরশেদুল ইসলামের ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমায় পা রাখেন। এরপর বেশকয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন। তার অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমা ‘তোরে কত ভালোবাসি’, ছবিটি পরিচালনা করেছেন দেওয়ান নাজমুল।
হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন।