কোভিড-১৯ এর পর মানুষের দেহে নানা পরিবর্তনের সাথে মানুষের দেহের রোগব্যাধিরও নানা পরিবর্তন এসেছে। আজকাল মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে কোলস্টেরল, থাইরয়েডের সমস্যার মত নানা রোগ।
অল্প বয়সের মানুষের দেহেও ঘর বাঁধছে হৃদরোগ। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি মানুষ সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক বা সাইলেন্ট অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনে (এসএএমআই) আক্রান্ত হচ্ছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড মহামারি আসার পর থেকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হার্টের যাবতীয় অসুখকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজিজ।
এই রোগের ঝুঁকিতে আছেন দুই ধরণের মানুষ।
১। নন-মডিফায়েড রিস্ক ফ্যাক্টর: এই রোগীরা চাইলেই নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেন না । এ ক্ষেত্রে যাদের বাবা-মা বা পূর্বপুরুষদের হৃদ্রোগের ইতিহাস রয়েছে, যাদের বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেশি। চাইলেই এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব নয়।
২। মডিফায়েড রিস্ক ফ্যাক্টর: এই রোগীরা চাইলেই নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেন।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়:
ক. ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে
খ. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
গ . ব্যায়াম করতে হবে
ঘ. নিজেকে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখতে হবে
সবশেষে রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত যদি ঠিক মতো ঘুম না হয়, তা হলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল হয় না। কাজেই শরীর তখন স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যার ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে।