চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সাংবাদিকের সংবাদের সোর্স আমরা জানতে চাইনি: হাইকোর্ট

সাংবাদিকের কোন সংবাদের বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আদালতের আগে প্রেস কাউন্সিলের শরনাপন্ন হবার কথা উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘সাংবাদিকের সংবাদের সোর্স আমরা জানতে চাইনি।’

“২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিদিনের প্রতিবেদকের বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার একথা বলেন।

একপর্যায়ে আদালত এসংক্রান্ত স্বত:প্রণোদিত রুল নিস্পত্তি করে গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন বিষয় অনুসন্ধানে পূর্বের কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নতুন তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে পুন:অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে আজ শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘এটি আদালত অবমাননার মামলা নয়। আর সাংবাদিকের কোন সংবাদের বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আগে প্রেস কাউন্সিলের স্মরণাপন্ন হতে পারেন। সাংবাদিকের সংবাদের সোর্স আমরা জনতে চাইনি।’

গত বছরের ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে “২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সে প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হলে আদালত রুল জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশনের নথিপত্র তলব করেন। পাশাপাশি প্রতিবেদককে তার তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন। সে ধারাবাহিকতায় আজ শুনানিতে দুদক আইনজীবী ইনকিলাবের প্রতিবেদনকে ‘মাফিয়া জার্নালিজম’ বলে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ চান। অন্যদিকে ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষের আইনজীবী সংবিধানে থাকা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার বিষয় সামনে আনেন। এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সোর্স প্রকাশ না করার নীতির কথা তুলে ধরেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রুল নিস্পত্তি করে নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন।

আদালতে ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।