ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের ‘বিকৃত সুরে’ গাওয়া কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সারাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসংক্রান্ত রিটের শুনানির পর মূল সুরের গান ও এ আর রহমানের সুরে করা গানটি মোবাইলে শুনে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান, ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মো. আনাস মিয়া ও অ্যাডভোকেট মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান হাইকোর্টে এবিষয়ে রিটটি করেন। রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটকে বিবাদী করা হয়।
রিটের বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিতে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান নতুনভাবে সুরারোপ করেছেন। এটি ব্যবহার করা হয়েছে পিপ্পা নামের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে। এ আর রহমান গানের কথা ঠিক রাখলেও সুরের পরিবর্তন করেছেন। তাই এ আর রহমানের সুরে গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তার গান আমাদের সকল প্রকার বিপ্লব ও আন্দোলনে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার গান ও কবিতা আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের জাতীয় কবি ও তার অমর কবিতার মূল সুর রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হয়েছিল। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিটিআরসিকে এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া জাতীয় কবির ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’