ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ছাড়াও মসজিদ ও বেশ কয়েকটি হোটেল রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কিছু কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি একেবারে মাটির সাথে মিশে গেছে। জেলার উপকূলীয় এলাকায় ৬৩৬টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
সোমবার (১৫ মে) কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জেলায় ১০ হাজার কাঁচা বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পুর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২ হাজার ঘরবাড়ি। শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১২শ কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ো হাওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সাবরাং এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
ঝড়ের প্রভাব কমে যাওয়ায়, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া অধিকাংশই নিজ বাড়িতে ঘরে ফিরে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা সোমবার সকালে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছে।
সাগর এখনও উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাথে এখনো নৌ যোগাযোগ শুরু হয়নি। সেন্টমার্টিনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন বিশুদ্ধ পানযোগ্য পানি ও খাদ্য সংকটে রয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫০০ এর বেশি বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ইতোমধ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।