ব্যাট হাতে বাইশ গজে ভয়ানক হয়ে উঠেছিলেন রাচীন রবীন্দ্র। কিউই অলরাউন্ডারকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন উইল ইয়াং। ২৯২ রানের লক্ষ্যকে অনেকটাই সহজ করে তোলার পথে এগোচ্ছিলেন এই দুই ওপেনার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত রিশাদ হোসেনের দারুণ ক্যাচে ভেঙেছে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরেন রাচীন।
বাংলাদেশের ৪৯.৫ ওভারে ২৯১ রানের জবাবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিউইদের সংগ্রহ ১৮ ওভারে ১ উইকেটে ১১১ রান। ফিফটি পাওয়া উইল ইয়াং ৫১ ও হেনরি নিকোলস ১৩ রানে ক্রিজে আছেন।
দলীয় ৭৬ রানের সময় স্বাগতিকরা প্রথম উইকেট হারায়। ৩৩ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রান করা রাচীন খেলেছিলেন পুল শট। হাসান মাহমুদের বলে বল সীমানা ছাড়া হওয়ার আগে ডিপ মিডউইকেটে লাফিয়ে শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে বল তালুবন্দি করেন রিশাদ।
এর আগে বুধবার নেলসনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কিউই বোলিং আক্রমণ চুরমার করেন সৌম্য সরকার। ১৫১ বলে ২২ চার ও ২ ছয়ে খেলেন ১৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।
কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে এখন সৌম্য এশিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখন সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংসর মালিক।
২০০৯ সালের মার্চে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ১৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। সেই রেকর্ড ১৪ বছর পর ভেঙে দেন সৌম্য।
সবমিলিয়ে অবশ্য ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মাঠে সর্বাধিক রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন মার্টিন গাপটিল। ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এটি ওয়ানডে ইতিহাসে কোনো ব্যাটারের দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের ইনিংস।
আগের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাওয়াকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছিলেন সৌম্য। এক ম্যাচ পরই দেড়শ পেরেনো ইনিংস খেলে বার্তা দিলেন ফুরিয়ে যাননি। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৬ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন টাইগার ওপেনার। শেষের ৩৮ বলে যোগ করেন ৬৯ রান।
সৌম্য সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। বড় ইনিংস না পাওয়ায় তাকে ঘিরে প্রত্যাশাও কমে আসে। ঘরোয়া লিগেও রান পাচ্ছিলেন না। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ হয়ে ফেরার পর ডাক পান বাংলাদেশ দলে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল হতাশার। দলের রান ফিফটি ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেন যান এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস। কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। এক প্রান্ত থেকে লড়ে যান শুধু সৌম্য।
তাওহীদ হৃদয় রান আউট হয়ে ফিরলে বিপদ আরও বাড়ে। ৮০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি জমে ওঠে সৌম্যর। মুশফিক ৪৫ করে আউট হলে ৯১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে লড়ে সৌম্য তিনশর কাছে নিয়ে যান বাংলাদেশের সংগ্রহ।