৫৫ বছরে পা দিলেন বলিউডের খিলাড়ি খ্যাত তারকা অক্ষয় কুমার। তবে বয়স যেন তার কাছে শুধুমাত্র সংখ্যা। আজও নবাগতদের ফিটনেসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
১৯৯১ সালে অ্যাকশন হিরো হিসেবে বলিউডে নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন অক্ষয়। ৩১ বছর পর এখনো বলিউড কাঁপাচ্ছেন তিনি।
তবে বলিউডে তার ক্যারিয়ারের শুরুটা অন্য তারকাদের মত ছিলনা। কেননা বলিউডের কোন স্টার কিড ছিলেন না অক্ষয়। এমনকি অভিনয়ের ব্যাপারে আলাদা করে কোন অনুশীলনও ছিল না তার। অভিনয়ে আসার আগে তিনি ছিলেন একজন মার্শাল আর্টের শিক্ষক। আজ জন্মদিনে রইলো শিক্ষক থেকে বলিউড খিলাড়ি হয়ে ওঠার অক্ষয়ের সেই অজানা জীবনযাত্রা।
১৯৬৭ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন অক্ষয়। এরপর বাবার চাকরি সূত্রে মুম্বাই আসেন কুমার পরিবার। সেখানেই প্রথম জীবনে ডন বসকো স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি।পরবর্তীতে মুম্বাইয়ের খালসা কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন অভিনেতা। এরপর তায়কোন্ডোতে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়ে যান অভিনেতা অক্ষয় কুমার।
জানা যায়, ব্যাংকক থেকে মার্শাল আর্টের ট্রেনিং নিয়েছিলেন তিনি। সেসময় ব্যাংককে মার্শাল আর্ট শেখাকালীন ওয়েটারেরও কাজ করেছিলেন তিনি। কিছুদিন পর মুম্বাই ফিরে এসে মার্শাল আর্ট শেখাতে শুরু করেন তিনি। সেই সময় তার এক ছাত্র তাকে মডেলিংয়ের জন্য বলেন। একটি ছোট কোম্পানিতে মডেল হিসেবে কাজ করার পর তার পোর্টফোলিও প্রযোজক প্রমোদ চক্রবর্তীর পছন্দ হয়। সেসময় তিনি অক্ষয়কে তার ‘দিদার’ ছবিতে সই করান। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অক্ষয় কুমারকে। নিজের পরিশ্রম ও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে সর্বজন পরিচিতি গড়ে তুলেছেন অভিনেতা।
১৯৯১ সালে ‘সৌগন্ধ’ ছবিতে অ্যাকশন হিরো হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ। এরপর এক বছরে ৩ থেকে ৪টি ছবি করছেন তিনি। তাই সেসময় রাত দিন পরিশ্রম করে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে একটা ছবির শুটিং শেষ করার চেষ্টা করতেন। যদিও তাতে ছিলোনা তার কোন রকমের ক্লান্তি।