ইংল্যান্ড জাতীয় দলের বাইরে আছেন প্রায় নয় মাস ধরে। ফেরার সুযোগ থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোনিবেশ করায় ফেরেননি দলে। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন বিশ্বকাপজয়ী অ্যালেক্স হেলস।
গত বছর নভেম্বরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ইংল্যান্ডের হয়ে তার সর্বশেষ ম্যাচ। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর ৩৪ বর্ষী হেলস নিজেকে ব্যস্ত করে নেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। ফলে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ থাকলেও আর খেলেননি।
চার বছর আগে সবশেষ ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলেছেন হেলস। স্বাভাবিকভাবেই ভারতে আসন্ন বিশ্বকাপের দৌড়ে ছিলেন না তিনি। তবে আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলার তার ভালো সুযোগ ছিল।
১২ বছরের ক্যারিয়ারে ইংল্যান্ডের হয়ে ১১টি টেস্ট খেলে ৫টি ফিফটিতে ৫৭৩ রান করেছেন হেলস। ৭০টি ওয়ানডে খেলে ৬ সেঞ্চুরি ও ১৪টি ফিফটিতে করেছেন ২৪১৯ রান। ৩৭.৭৯ গড় ও ৯৫.৭২ স্ট্রাইক রেট ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে।
টি-টুয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৭৫টি ম্যাচ। ৩০.৯৫ গড় ও ১৩৮.৩৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২০৭৪ রান। এই ফরম্যাটে ১টি সেঞ্চুরি ও ১২টি ফিফটি ছিল তার অর্জনের ঝুলিতে।
অবসর প্রসঙ্গে বিশ্বকাপ জয়ী হেলস বলেছেন, ‘দেশের হয়ে তিন সংস্করণের ক্রিকেটে ১৫৬ ম্যাচ খেলতে বড় সম্মানের বিষয়। আমি অনেক স্মৃতির অংশ হতে পেরেছি, অনেক বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়েছি, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার মনে হচ্ছে, এটাই সরে যাওয়ার সঠিক সময়।’
‘ইংল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা সময় কাটিয়েছি। কিছু সময় এমনও কেটেছে, যা ভালো ছিল না। তবে সফরটা দুর্দান্ত ছিল। আমি সন্তুষ্ট যে ইংল্যান্ডের হয়ে আমার শেষ ম্যাচটা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ, যে ম্যাচটা আমরা জিতেছি।’
‘আমার এ যাত্রায় আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের অনেক সমর্থন পেয়েছি। ইংল্যান্ডের সমর্থকদের কথা বলব, তারা অবশ্যই বিশ্বের সেরা সমর্থকগোষ্ঠী। আমি নটিংহামশায়ার ও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আরও বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার চেষ্টা করব।’