রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মো. হাসান (৩২) মারা গেছেন। এ নিয়ে সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ জনে।
রোববার ২৬ মার্চ সকাল সোয়া ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইউব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাসান আইসিইউ-তে লাইফ সাপোর্ট চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শরীরের ১২% দগ্ধ হয়েছিল। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আবু আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে। তিনি সিদ্দিকবাজার ফুটপাতে স্কুল ব্যাগের ব্যবসা করতেন এবং সেখানেই থাকতেন। ঘটনার সময় সিদ্দিকবাজারের রাস্তায় বসে ব্যাগ বিক্রি করছিলেন। তখন বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত ও দগ্ধ হন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়েশা আক্তার আশা (২৬) ও জাহান সরদার সেলিম (২০) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে একটি সূত্র জানায়, সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসানকে নিয়ে এখানে এ পর্যন্ত দগ্ধ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতাল থেকে জানা যায়, সিদ্দিকবাজারের ঘটনায় মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই হাসপাতাল মিলে নিহতের সংখ্যা ২৫।
এছাড়া ঢামেকে সম্রাট নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। তবে ঘটনার দিন তার মরদেহ জোর করে পরিবারের লোকজন নিয়ে যাওয়ার কারণে হাসপাতালে নথিতে তার নাম লিপিবদ্ধ নাই।
গত ৭ মার্চ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে সিদ্দিকবাজারের নর্থসাউথ রোডে অবস্থিত একটি সাততলা ভবনের বেজমেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।