দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে গ্রাহকদের ফাইভজি ট্রায়াল শুরু করেছে গ্রামীণফোন।
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফাইভজি কানেক্টিভিটির অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করবে গ্রামীণফোন।
যার মধ্যে রয়েছে: গুলশান জিপিসি, বিটিআরসি সার্ভিস আইবি (ঢাকা), বুয়েট বিল্ডিং, মিরাবাজার (সিলেট), কলাতলী (কক্সবাজার), খুলনা, গ্রামীণফোন আঞ্চলিক অফিস, ময়মনসিংহ; রাজশাহী আলুপট্টি মোড়, রংপুর নিউ মার্কেট (সিটি করপোরেশন, পায়রা চত্বর), চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ও গ্রামীণফোন আঞ্চলিক অফিস, কুমিল্লা।
এ উপলক্ষে রাজধানীর জিপি হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
তিনি বলেন, “দেশজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয়, আমাদের দেশ ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি সেবা প্রদানে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেখানে আমরা সবাই কাজ করছি। কিন্ত বিষয়টা এমন নয় নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানানো যাবে না। আমাদের বিশ্বের সাথে তাল মিলেয়ে প্রযুক্তি সুবিধা নিতে হলে সকল প্রযুক্তি মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা উন্মোচনে আমাদের ফাইভজি’র মতো উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের ক্ষমতায়ন ও সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রামীণফোন। আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে চলমান ডিজিটালাইজেশন ত্বরাণ্বিত করার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর লক্ষ্য অর্জনের দায়িত্ব আমাদের সবার। টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি থেকে এখন ফাইভজি কানেক্টিভিটি যুগেও উচ্চগতির কানেক্টিভিটি এবং উন্নত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্যুশন নিয়ে দেশের রূপান্তরে আমরা কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে কাজ করছি।ফাইভজি’র শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ, সমাজ ও সর্বোপরি দেশের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত তৈরির এখনই সময় বলে আমি মনে করি।”
এর আগে, গত ২৬ জুলাই গ্রামীণফোন দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইউজ কেস সহ ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করে। এর ধারাবাহিকতায়, টেক সার্ভিস লিডার এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের আট বিভাগে গ্রাহকদের ফাইভজি সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।