প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: আমাদের সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পান। যারা চাকরি করে না তারা তো পান না। কাজেই এটা সরকারি চাকরিজীবীর জন্য নয়। যারা সরকারি চাকরি করেন, বেতন পান, তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবে না। সরকারি চাকরির বাইরে যে জনগোষ্ঠী, শুধুমাত্র তাদের জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা করেছি।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবনে থেকে ভার্চুয়ালী উদ্বোধন কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে এই কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। একদিকে করোনা, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এসব মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে নিচ্ছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সব খাতে সেবা দিচ্ছি। শত বাধা পেরিয়ে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকা, এই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে এলাম, তখন সর্বজনীন মানুষের জন্য কী করতে পারি সেই বিষয়ে চিন্তা করেছিলাম। ২০০৮-এ নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সিদ্ধান্ত নিই। এটা করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। তখন মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থাও খারাপ ছিল। তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল নিম্নস্তরে। অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করতো।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই শোকের মাসেই আমরা এই পেনশন স্কিম উদ্বোধন করছি। জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ছিল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। সেই চিন্তা থেকেই তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। শোকের মাসে আমরা এই অনুষ্ঠান করছি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। তার সাথে সাথে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
সর্বজনীন এই পেনশন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ভবিষ্যত সুরক্ষার কথা চিন্তা করে প্রণয়ন করা হয়েছে যা উন্নত দেশগুলোতেও রয়েছে। চারটি স্কীমের মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে নিযুক্তদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমতা স্কীম। পেনশন ব্যবস্থার আওতায় ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা আসবে, তারা ৬০ বছর পরে পেনশন পেতে শুরু করবে। টানা ১০ বছর প্রিমিয়াম দেয়ার পরে তারা পেনশন সুবিধা পাবেন।