চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক তিন সাঁওতালের হাতকড়া আদালতের নির্দেশে খুলে দেয়া হয়েছে। হাতকড়া খোলার পর চ্যানেল আই অনলাইনকে দিনজেন টুডু বলেন, আমরা আগুন নয়, পানি। ছোট থেকেই নির্যাতন দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। আমরা রাগ দেখেছি কিন্তু কখনো রাগ করিনি। কিন্তু এখন আমাদের সব কেড়ে নেওয়া হলো।
তাদের আটক করে হাতকড়া পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। গণমাধ্যমে এই খবর প্রচার হলে আদালতে রিট আবেদন করেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। পরে ১৪ নভেম্বর আদালত চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক তিন সাঁওতালের হাতকড়া খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের হাতকড়া পরানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছিলেন আদালত।
চোখে-পিঠে ছররা গুলি লাগার কথা উল্লেখ করে দিনজেন টুডু বলেন, আমার পিঠে লেগেছে, চোখে লেগেছে ছবি তুলতে পারেন। আরো অন্তত ১৫-১৬ জন আহত হয়েছে সেদিন।
গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন সাঁওতাল নিহত হন। আহত হন আরো অনেকেই। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন চরন সরেন, বিমিল কিছকু ও দিনজেন টুডু।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার, রংপুরের ডিআইজি ও গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=68WfwI-6-3s