বারবার সুযোগ নষ্টের কারণে মিলছিল না গোলের দেখা। উল্টো ৬৮ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করায় পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে চার মিনিট পর পোস্টের ২০-২৫ মিটার দূর থেকে নেয়া ডান পায়ের শটে চোখ ধাঁধানো গোল করেন শেখ মোরসালিন। পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো ‘সুই’ সেলেব্রেশন করেন। বাংলাদেশি এ ফরোয়ার্ডের দুর্দান্ত লক্ষ্যভেদে লেবাননের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ।
গত সেপ্টেম্বরে নিজ ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের হয়ে মোরসালিন এএফসি কাপ খেলতে মালদ্বীপে গিয়েছিলেন। কয়েকজন সতীর্থের সঙ্গে তিনি মদ কাণ্ডে জড়িয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নিষিদ্ধ হন। মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডের হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে নিষেধাজ্ঞাটা দীর্ঘ না হওয়ায় মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে সুযোগ পান।
মঙ্গলবার ঘরের মাঠে লেবাননের বিপক্ষে দারুণ গোল করে যেন ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলেন। দলকে পরাজয় থেকে বাঁচালেন। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে নিজের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল, সেটি জানান।
‘আমার বিশ্বাস ছিল আবার ফিরে আসব। সেই লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। খেলতে না পেরে খারাপ লেগেছে। তবে আমি নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি রেখেছিলাম। আমার লক্ষ্য ছিল যখনই জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ পাব, নিজের শতভাগ উজাড় করে খেলব।’
মোরসালিন সবশেষ নয় ম্যাচের মধ্যে ইতোমধ্যে চারটি গোল করেছেন। চার গোলের তিনটিই ডি বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে করেছেন। গোলগুলোর মধ্যে কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন- জানতে চাইলে তার উত্তর, ‘আজকের ম্যাচে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। গোলটা প্রয়োজন ছিল। আমার কাছে প্রতিটি গোলই সমান। আলহামদুলিল্লাহ সবকিছুর জন্য। আমরা আজ আমার গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছি, এটাতেই খুব ভালো লাগছে।’
‘যদিও আমাদের লক্ষ্য ড্র ছিল না, আমরা জিততে চেয়েছিলাম। এরপরও এক পয়েন্ট পেয়েছি আমরা। সামনের ম্যাচগুলোতে জয়ের জন্যই খেলব।’
বারবার আক্রমণে গিয়ে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের রক্ষণে ধরিয়েছে কাঁপন। মোরসালিনের বারবার সহজ গোলের সুযোগ নষ্টের কারণে ধরা দেয়নি জয়। সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ম্যাচ সেরা ফুটবলারের ভাষ্য, ‘আমি চেষ্টা করেছি, পারিনি। সামনে এর পুনরাবৃত্তি না করার চেষ্টা করব।’
দুই হলুদ কার্ডের কারণেখেলতে পারেননি দলের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। তার অনুপস্থিতি নিয়ে মোরসালিন বলেন, ‘রাকিব ভাই না থাকায় আমার আর ফাহিমের উপর বাড়তি দায়িত্ব ছিল। আমরা সবাই সচেতন ছিলাম। দলের অন্যরাও আজ শতভাগের বেশি দিয়েছে।’