‘ফুটবলাররা মিলে আমরা দশদিনের যে ক্যাম্প করেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। মাঠে কীভাবে প্রেসিং ও ডিফেন্স করতে হবে, আক্রমণে যেতে হবে, কোচের কাছ থেকে পরিকল্পনা জেনেছি।’
এশিয়ান কাপ বাছাই এবং তার আগে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ফিফা প্রীতি ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার এমনই বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জামাল আশারবাণী শুনিয়ে গেলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গত জানুয়ারিতে ১১ মাসের চুক্তিতে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে এসে হাভিয়ের কাবরেরার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি।
২৫ মার্চ ফিফা প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ২-০ গোলে হেরেছিল তার শিষ্যরা। পরে ২৯ মার্চ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আরেকটি প্রীতি ম্যাচে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ কোয়ালিফায়ারে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের চেয়ে শক্তিশালী বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তান ও মালয়েশিয়াকে পাচ্ছে। র্যাঙ্কিংয়ে ৮৯তম বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তান ১৩৪তম এবং মালয়েশিয়ার স্থান ১৫৪তে।
প্রীতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়ার র্যাঙ্কিং ১৫৯তম। সেখানে র্যাঙ্কিংয়ের তলানির দিকে বাংলাদেশ, রয়েছে ১৮৬তম স্থানে।
কাবরেরার দিকে প্রশ্ন গেছে চুক্তির মেয়াদের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে এবার তার নিজেকে প্রমাণের বড় পরীক্ষা কিনা। স্প্যানিশ কোচ বললেন, ‘ছেলেরা আশা করি নিজেদের শতভাগ উজাড় করে সেরাটা খেলবে। তাতে ভালো কিছুই হবে।’
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের দিকেও প্রশ্ন ছুটেছে কোচের পারফরম্যান্সের সন্তুষ্টির জায়গা নিয়ে। তিনি জানালেন, কোচের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনই ভাবনা-চিন্তা চলছে না।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাবরেরার সঙ্গে অতীতের কোচদের পার্থক্য নিয়ে বাফুফে বস কাজী সালাউদ্দিন অবশ্য বলেছিলেন, ‘সে নিজে খেলা দেখে। কারও উপর নির্ভর করে না। এই গুণ আমি আগে কারও কাছ থেকে পাইনি। শতভাগ নিজের সেরাটা উজাড় করে দেয়। ২৪ ঘণ্টাই তাকে পাওয়া যায়।’