কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাজারের খাবারের প্যাকেট বাড়িতে এনে খেয়ে নারী-শিশুসহ ২৩ জন গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৬ টার দিকে উপজেলার আগানগর ছাগাইয়া ও নবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থদের সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অসুস্থ রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, শনিবার রাতে ভৈরবের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু ঢাকার বিমানবন্দর সংলগ্ন বাউনিয়া মহিউদ্দিন চিশতির মাজারের অনুষ্ঠানে যায়। রাতে অনুষ্ঠান শেষে ভোরে কয়েকজন মাজারের খাবার খায়। আর ৩০ থেকে ৪০ জন মাজারের খাবারের প্যাকেট বাড়িতে নিয়ে আসেন। আজ রোববার দুপুরে তারা ভৈরবে চলে আসে। বাড়িতে এসে মাজার থেকে নিয়ে আসা খাবার দুপুরের পর খায়। এ খাবার খাওয়ার পর বিকেল থেকেই কারো বমি, কারো পাতলা পায়খানা হতে থাকে। পরে অসুস্থরা বিকেল ৬ টার পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে। অসুস্থদের মধ্য শিশুসহ কয়েজনের অবস্থা গুরুত্ব বলেও জানান তাদের স্বজনেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে যারা ভর্তি হয়েছে তারা হলো- আকলিমা (২৫), নুরুন্নাহার (৪১), স্বর্না বেগম (২০), কামাল উদ্দিন (৪৫), নওশিন (৩৯), ফাহিম (৬), রোহান (৩), অনিতা বেগম (৪০), আঃ রউফ (২), রুপালী বেগম (১৯), সেলিনা বেগম (৩৫), নদী (১৮) রুপক (২), আবদুল্লাহ ( ১৭ মাস) , নাদিয়া বেগম (৪৫), মাফি (২২ মাস), জিনাত বেগম (৪৫), মিতা বেগম (২২), কুলসুম (২৮), খাদিজা বেগম (৪০), তানভির (১৫ মাস), মিম (৩), মুজাহিদ (৩)। এখনও আরও অসুস্থ রোগী হাসপাতালে আসছে বলে জানা গেছে। খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হামিদ জানান, শনিবার মাজারে গিয়ে সারারাত কাটিয়ে ভোররাতে মাজারের খাবার ভৈরবের নিজ বাড়িতে এনে খেয়েছেন তারা। বিকেল থেকে তার অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রওশন আরা নিপা জানান, অসুস্থরা সবাই খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। বিকাল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ২৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্য শিশুসহ ৫ থেকে ৭ জনের অবস্থা বেশি খারাপ। তাদের কেউ বমি করছে আনার কেউ আবার পেটের পীড়ায় ভুগছে।