চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

স্পেন-মরক্কো: ইতিহাস কী বলছে?

১৯৬১ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলায় প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্পেন ও মরক্কো। প্রথম দেখায় স্প্যানিয়ার্ডরা একমাত্র গোলের জয় পায়। ফিরতি ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছিল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

পরে পেরিয়ে যায় ৫৭ বছর। দল দুটি হয়নি মুখোমুখি। ২০১৮ রাশিয়া আসরে ঘটে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। গ্রুপপর্বের ম্যাচে স্পেনের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল মরক্কো। নির্ধারিত সময় শেষে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের বেশ কাছেই ছিল। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সমতাসূচক গোলে হার এড়ায় স্পেন।

অর্থাৎ, তিনবারের দেখায় স্পেন জিতেছে দুবার, একবার হয়েছে ড্র। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে সাত নম্বরে স্পেন। মরক্কো আছে ২২তম স্থানে।

চার বছর পর আবারও বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি স্পেন-মরক্কো। শেষ ষোলোতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম খেলা।

কোচ লুইস এনরিকে একঝাঁক তরুণে দল গড়ে বিশ্বকাপে এসেছেন। গ্রুপপর্বের প্রথম খেলায় টিকিটাকার সঙ্গে গতির সংমিশ্রণে কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে দলটি। জার্মানির সঙ্গে পরের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা। শেষ ম্যাচে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরে স্পেন খায় বড় ধাক্কা। কোস্টারিকার বিপক্ষে জার্মানি না জিতলে নকআউটের আগেই বাদ পড়ার শঙ্কাতেও পড়েছিল তারা। গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরে অবশ্য ঠিকই দ্বিতীয় রাউন্ডে গেছে।

আফ্রিকা অঞ্চল থেকে শেষ ষোলোতে পৌঁছানো দুটি দলের একটি মরক্কো। গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র দিয়ে শুরু হয় তাদের বিশ্বকাপ অভিযান। সোনালী প্রজন্মের ফুটবলারদের নিয়ে আসা বেলজিয়ামকে ভাঙনের শব্দ শুনিয়ে ২-০ গোলে হারিয়ে ঘটায় অঘটন। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা কানাডার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠে যায় মরক্কো।

অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যের বিচারে স্পেন এগিয়ে থাকবে। পাওয়ার ফুটবল দেখানো মরক্কো চাইবে অভিযান আরও সামনে নিতে। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে গেছে সেনেগাল। আফ্রিকার পতাকা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওড়াতে মরিয়া থাকবে আশরাফ হাকিমির দল। যদিও জর্ডি আলবা, সার্জিও বুসকেটস, ফেররান তরেস, আলভারো মোরাতা, মার্কো আসেনসিওদের সঙ্গে পেরে ওঠা হবে কঠিন। গোলপোস্টের সামনে উনাই সিমন তো থাকছেনই।