এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
আক্রমণের পসরা সাজিয়েও গোল নামক সোনার হরিণের দেখা পাচ্ছিল না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। উল্টো ধারার বিপরীতে খেলে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির সঙ্গে পিছিয়ে পড়ে। শেষে দারুণ প্রত্যাবর্তনে ২-১ গোলের জয়ে আবারও ফেডারেশন কাপের ফাইনালের টিকিট নিজেদের হাতে নিয়েছে সাদা-কালো দলটি।
আগামী ১৪মে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ও বসুন্ধরা কিংস। জয়ী দলটি হবে মোহামেডানের প্রতিপক্ষ। ফেডারেশন কাপের ফাইনাল গড়াবে ২১মে।
মুন্সীগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ম্যাচের ১৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত মোহামেডান। মিডফিল্ডার আরিফ হোসেনের লম্বা পাসে বল নেন শাহরিয়ার ইমন। ডানপ্রান্ত থেকে তার বাড়ানো বলে হেড করেন ইমানুয়েল সানডে। অল্পের জন্য বল জালে না জড়িয়ে পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
আট মিনিট পর প্রতিপক্ষের তিনজনের ভেতর ইমন পাস দেন। ডি বক্সের দিকে সোলেমান দিয়াবাতে অনেকটা এগিয়ে গেলেও বলের গতি বেশি থাকায় গোলরক্ষক শেষমুহূর্তে ধরে ফেলেন।
শাহেদের পাসে বক্সে ঢুকে যান শাহ কাজিম কিরমানি। মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন এগিয়ে আসলেও তা বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ২৬ মিনিটে কিরমানি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় পুলিশ লিড পায়নি।
ম্যাচের ৪১ মিনিটে ইমনের হেড ঠেকান গত মৌসুমে মোহামেডানের হয়ে খেলা গোলরক্ষক বিপু। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ঈসা ফয়সালের দূরপাল্লার শট সাদা-কালোদের গোলরক্ষক হোসেন সুজন পাঞ্চে ফেরান। গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলার ধারার বিপরীতে লিড পায় পুলিশ। এডওয়ার্ড মুনিলোর ফ্রি-কিকে পোস্টের একদম মুখে থেকে ডান পায়ের টোকায় ৪৭ মিনিটে ফাঁকা জালে বল জড়ান উজবেক ফুটবলার আখরোরবেক উকতামোভ।
পিছিয়ে পড়ে একের পর আক্রমণে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে মোহামেডান। কখনো আবার দুদলের খেলোয়াড়দের শারীরিক শক্তি প্রদর্শন ও তর্কেও লিপ্ত হতে দেখা যায়।
মোহামেডানের ডেরায় ৬৮ মিনিটে ফেরে স্বস্তি। দিয়াবাতের শট ব্লক হলেও ফিরতি বলে কিক নেন আরিফ। গোলমুখে থাকা নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ইমানুয়ের সানডে সরাসরি আসতে থাকা বলে ডানপায়ের শটে নিশানাভেদ করেন।
দিয়াবাতের কাটব্যাকে ৭৮ মিনিটে ইমন ও সানডে সহজ সুযোগ হারালে লিড পায়নি সাদা-কালো দলটি। পরের মিনিটে অবশ্য আরিফের কাছ থেকে বল পাওয়া সানডের অ্যাসিস্টে বল নিয়ে অনেকটা ফাঁকা জালে হেডে বল জড়িয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ফাইনালের পথে এগিয়ে রাখেন মিডফিল্ডার ইমন।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সুজনের ভুলে গোল হজমের শঙ্কায় পড়ে মোহামেডান। রক্ষণের ফুটবলারের তৎপরতায় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি বেঁচে যায়।