অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেদেশে সুদের হার বাড়িয়েছে, যা ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফেডারেল রিজার্ভ তার মূল সুদের হার ০ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। গত ১৪ মাসে এই সুদের হার দশম বারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) পর্যন্ত সুদের হারের এই বৃদ্ধি আপাতত শেষ বৃদ্ধি বলে জানিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ। এইবার সুদের হার বৃদ্ধির এই পরিস্থিতি সুদ হারকে ৫ থেকে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশএর মধ্যে নিয়ে এসেছে। যেখানে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধির হার প্রায় ছিল শূন্য।
বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তনের ফলে সম্প্রতি তিনটি মার্কিন ব্যাংকের পতন হয়েছে।
সুদের হার বৃদ্ধির ঘোষণার পর ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা কথা দিতে পারছি না যে আগামীতে সুদের হার আর বৃদ্ধি পাবে না। সুদের হার বৃদ্ধি একটি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন।”
গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে ব্যাংকগুলো আক্রমনাত্মকভাবে সুদের হার বাড়াতে শুরু করেছিল। যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপসহ বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছে।
কিন্তু সুদের হার বাড়ানোর পর সাধারণ মানুষের জন্য সুদে একটি বাড়ি কেনা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ঋণ নেয়া বা অন্যান্য ঋণ নেয়া আরও ব্যয়বহুল করছে। তবে কর্মকর্তারা আশা করছেন, সুদের হার বৃদ্ধির কারণে শীঘ্রই জনসাধারণের চাহিদা কমে আসবে এবং এই দাম কমে যাবে।
ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বৃদ্ধির প্রচারণা শুরু করার পর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতির মূল্য বৃদ্ধি কমিয়ে আনার কথা বলছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি কারণে অর্থনীতির মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে তা ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।