সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত ভুয়া উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত কি-না সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, আমরা তাদের (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিলাম। সেখানে তারা প্রথমে প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা চালায় এবং আমাদের পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। কীভাবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তারা আমাদের ওপর হামলা করে আমাদের পুলিশ সদস্যদের আহত করেছে। আহত বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তারা মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার আগেই বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। ঘটনার সঙ্গে যেসব দুষ্কৃতিকারী জড়িত তাদের প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হবে এবং পুলিশের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগে যারা জড়িত তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদেরকেও টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদেরকেও টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে। তারা যে অপরাধ করছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সেটি তাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে, সেজন্য তারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় মানুষ নিরাপদে চলতে পারবে সেটাও যেমন তার অধিকার, রাজনৈতিক দল প্রোগ্রাম করবে সেটাও তাদের অধিকার। কিন্তু মানুষ নিরাপদে চলাচলের ক্ষেত্রে কেউ যদি বাধা সৃষ্টি করে জান-মালের ক্ষতিসাধন করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম আরেফী এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সোহরাওয়ার্দীকে আপনারা গ্রেপ্তার করেছেন, এর পেছনে আর কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন: এর পেছনে কারা জড়িত আছে সে বিষয় নিয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে। এ বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই মন্তব্য করতে চাই না।
এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।