চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ল্যাবের জন্য ২০১৮ সাল থেকে আসছে বাজেট। তবু বিভাগটিতে নেই ল্যাব ও পর্যাপ্ত শিক্ষক। পর্যাপ্ত শিক্ষক, কর্মচারী ও ল্যাব সরঞ্জামাদির সংকটে দুরবস্থায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, সেশনজটের কারণে বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে প্রায় ১ বছর। এরপরও দেওয়া হচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগ। অতিথি শিক্ষকদের সহায়তায় মাত্র ৩ জন শিক্ষক নিয়ে চলছে কার্যক্রম। বিভাগটির ২০১৭-১৮ সেশনের অনার্সের একজন শিক্ষার্থী জানান, আমি ২০১৮ সাল থেকে ক্লাস করছি। ২০২২ সালের মধ্যে আমার অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত আমি অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে আরও একবছর পিছিয়ে আছি। আমাদের বিভাগে স্টাফ এবং শিক্ষক স্বল্পতার এই সমস্যা বিরাট আকার ধারণ করেছে। একটি বিভাগকে স্বাভাবিক রাখতে যেই লোকবল লাগে তা আমাদের এখানে নেই।
২০১২-১৩ সেশনের বিভাগটির প্রথম ব্যাচের একজন সাবেক শিক্ষার্থী জানান, আমি মাস্টার্স শেষ করে সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি ভর্তির প্রায় সাতবছর পর। বিভাগটিতে বর্তমানে ৩ জন শিক্ষক আছেন। অতিথি শিক্ষকদের দিয়ে ক্লাস করিয়ে এতদিন ধরে এর কার্যক্রম চলছে। তবুও এত বছরে কোন নতুন নিয়োগ হয়নি। এই বিভাগে ২০১৮ সাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী আলাদা করে গবেষণা বাজেট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ৬ বছরেও এর কোন নিজস্ব গবেষণাগার তৈরি করতে হয়নি।
ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি ড. মো. আশরাফুল আজম খান বলেন, করোনার আগে তেমন একটা সেশন জট ছিলো না। কম করেও যেটুকু ছিলো সেটাও কমিয়ে আনা যেত। পরে করোনার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ি। প্রায় একবছর ক্লাস নিলেও পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। মাস্টার্সের থিসিস করতে যে গবেষণা লাগে, তার কাজ আটকে থাকায় এক বছরের একটা জট সৃষ্টি হয়েছে। একটা ব্যাচ আটকে পড়ায় নিচের সেশনেও জট সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিভাগ থেকে শূন্য পদ সৃষ্টির রিকুইজিশান পাঠানো হয়েছে। যদি প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে শূন্য পদ পাশ করিয়ে না আনে, তবে আমরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদন করতে পারছিনা।
গবেষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ২ সপ্তাহ আগে দায়িত্ব নিয়েছি। এর আগে কোন প্রশাসনিক দায়িত্ব নেইনি বলে গবেষণার বাজেটের বিষয়ে অবগত নই।
প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে শূন্যপদের জন্য আবেদন করা হয়েছে কিনা জানতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এম নুর আহমদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে, তিনি মুঠোফোনে কল রিসিভ করেননি।