মার্কিন ডলারের বিপরীতে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে ইউরোপের ১৯ দেশের অভিন্ন মুদ্রা ইউরো। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানি অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে রয়েছে। যার ফলে দাম কমছে ইউরোর। অন্যদিকে বিশ্বের প্রধান সব মুদ্রার বিপরীতে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ডলার।
এনডিটিভি এবং দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার জার্মানির পরিসংখ্যান অফিস ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক মাসের মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।
ছয়টি প্রধান মুদ্রার সূচক অনুযায়ী ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়। এসকল মূদ্রার বিপরীতে গত ১৭ মার্চে ০.৩ শতাংশ দাম বেড়ে ১০৪ দশমিক ১৬ তে পৌঁছায় ডলারের মূল্য। আর মুদ্রার হিসেবে এটি এখন সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে ইউরোর মূল্য কমেছে প্রায় ০.২ শতাংশ, যা গত দু’মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। যুক্তরাজ্য পাউন্ড বা স্টার্লিং কমেছে ০.১ শতাংশ। আর এটি ৩ এপ্রিলের পর থেকে সর্বনিম্ন মূল্যে পৌঁছেছে। এছাড়াও ইয়েনের বিপরীতে প্রতি ডলার ১৩৯ দশমিক ৭০৫ এ পৌঁছেছে, যা নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ মূল্য।
জার্মানির পরিসংখ্যান অফিস বলছে, বছরের শুরুতে যখন বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ এবং নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছিল, তখনই আংশিকভাবে ভোক্তাদের ব্যয় কমিয়েছে। কারণ উচ্চ মূল্যের কারণে পরিবারগুলোকে তাদের ব্যয় কমিয়ে আনতে বাধ্য করেছে। তারা বলছে, ‘বছরের শুরুতে উচ্চ মূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা জার্মান অর্থনীতির জন্য একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
পরিসংখ্যান অফিস বলছে, সামগ্রিকভাবে প্রথম ত্রৈমাসিকে গৃহস্থালীর ব্যয় ১.২ শতাংশ কমেছে। ক্রেতারা খাদ্য, পোশাক এবং আসবাবপত্রের উপর কম খরচ করতে বাধ্য হয়েছে। সরকারি ব্যয়ও আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৪.৯ শতাংশ কমেছে।
জার্মানির অর্থনীতিবিদ সতর্ক করে বলেছিলেন, ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস, দুর্বল শিল্পখাতের আদেশ, ক্রমবর্ধমান সুদের হার, সেইসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলোতে বিদেশী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থর সবই সম্ভবত সামনের মাসগুলোতে জার্মানির জন্য দুর্বল অর্থনৈতিক কার্যকলাপের দিকে নিয়ে যাবে।