ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বল হাতে ভারতকে স্বল্প রানে থামিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটে নেমে নাঈম ও তানজিদের শুরুটাও ছিল উড়ন্ত। মাত্র ১২ ওভারে তাদের ৭০ রান তোলায় আশা জেগেছিল খুব সহজে জিততে চলেছে লাল-সবুজের দল। কিন্তু একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ১৬০ রানে থেমে যায় ইনিংস। ৫১ রানে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয় বাংলাদেশের।
কলম্বোতে টস জিতে ভারতকে ব্যাটে পাঠায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। পেসার ও স্পিনারদের দুর্দান্ত পারফর্মে ৪৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট তুলে নেয়। ভারত সংগ্রহ পায় ২১১ রানের। জবাবে নেমে নিশাত সিন্ধুর ৫ উইকেট ও মানভ সুতারের ৩ উইকেটে ৩৪.২ ওভারে ১৬০ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ।
শিরোপার মঞ্চে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত। রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় কলম্বোতে গড়াবে ফাইনালের লড়াই। আসরের প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৬০ রানে হারায় পাকিস্তান।
২১২ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৭০ রান। ১২.৪ ওভারে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ফিরে যান নাঈম শেখ। ৪০ বলে ৩৮ রান করে। ১৭.৩ ওভারে ফেরেন ৫৬ বলে ৫১ রান করা ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
তামিম ফেরার পর একে একে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সাইফ হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয় আশা জাগালেও দ্রুতই ফিরে যান। ৪৬ বলে ২০ রান করেন জয়, সাইফ ২৪ বলে ২২ রান। শেষঅবধি ১৬০ রানে সবকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাটে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি ভারত। রান তোলার গতিও ছিল স্বাভাবিক। অষ্টম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২৯ রানে সাই সুদর্শনকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৪ বলে ২১ রান করেন তিনি।
১৪.৪ ওভারে দলীয় ৪৭ রানে রাকিবুলের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন জসি। রিপ্লেতে দেখা যায় ভারতের ব্যাটারের ব্যাট হাওয়ায় ভাসা অবস্থায় স্টাম্প ভেঙেছেন উইকেটরক্ষক আকবর আলী। টিভি আম্পায়ার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে দেখে প্রথমে লাল সংকেত দেখালেও এক মিনিট পর সবুজ সংকেত দেখান। সে যাত্রায় হতাশ হতে হয় টাইগারদের।
পরে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৬ রান তোলেন অভিষেক শর্মা ও নিকিন জসি। ১৮.১ ওভারে ৭৫ রানে সাইফ হাসান ফেরান জসিকে। ২৯ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
পরের ওভারেই রাকিবুলের শিকার হন অভিষেক। ৬৩ বলে ৩৪ রান করে ধরা দেন সাকিবের হাতে। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। একপ্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক যশ ধুল। তার ফিফটির ইনিংসে ২১১ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। ৮৫ বলে ৬৬ রান করে রিপন মন্ডলের শিকার হয়ে ফেরেন যশ।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী, তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান। সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার ও রিপন মন্ডল নেন একটি করে উইকেট।