ব্রুনাই ও সিশেলসের বিপক্ষে সিলেটে ট্রাইনেশন কাপের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে ২৭ ফুটবলারকে। দেড়বছর পর আবারও ক্যাম্পে ডাক পেলেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া নাইজেরিয়ান ফুটবলার এলিটা কিংসলে।
বৃহস্পতিবার মতিঝিলের বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ডাক পাওয়াদের নাম জানানো হয়।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন এলিটা। ২০২১ সালের মার্চে নাগরিকত্বের পর সেপ্টেম্বরে হাতে পান লাল-সবুজের পাসপোর্ট। পরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন।
চূড়ান্ত স্কোয়াডে অবশ্য এলিটা জায়গা পাননি। ফিফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্সের ছাড়পত্র না থাকায় তার বাংলাদেশ জার্সিতে খেলার আশা অধরা থেকে যায়। পরে দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, জাতীয় দলের দরজা এলিটার জন্য বন্ধই ছিল। বর্তমানে ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলা ৩৩ বর্ষী স্ট্রাইকারের সামনে আবারও খুললো সেই দরজা।
সম্প্রতি এলিটার জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে বাফুফের কাছে জানতে চেয়েছিল চ্যানেল আই অনলাইন। দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটির দায়িত্বশীলরা এলিটার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন।
বাফুফের পক্ষে জানানো হয়েছিল, ফিফার কাছে এলিটার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল। এরপর ফিফা আমাদেরকে বড় আকারের একটি বই পাঠায়। সেখানে অন্য দেশের ফুটবলারদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর তাকে খেলানোর ব্যাপারে অসংখ্য নিয়ম-কানুন দেয়া আছে।
নিয়ম অনুযায়ী, যে দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো ফুটবলার জাতীয় দলে খেলতে চান, তাকে অবশ্যই সেখানে টানা পাঁচ মৌসুম খেলতে হবে। ক্লাবের সব ম্যাচ শেষের আগে দেশ ত্যাগ করা যাবে না। এলিটা একবার বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলার সময় তাদের শেষ ম্যাচের আগেই বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। এতে তাকে জাতীয় দলে খেলানো ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো ফুটবলার নাগরিকত্ব পেলে তার ক্ষেত্রে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলায় বাধা থাকত না। এলিটা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ফিফার নিয়ম অনুযায়ী সেটি সম্ভব নয়।
আসছে ২০ থেকে ২৮ মার্চ ছেলেদের ফিফা উইন্ডোতে দেশের মাটিতে ট্রাইনেশন কাপ খেলবে বাংলাদেশ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৯২তম স্থানে। লাল-সবুজের দলের চেয়ে মাত্র দুধাপ এগিয়ে থাকা ব্রুনাইয়ের র্যাঙ্কিং ১৯০। সিশেলস ১৯৯তম স্থানে আছে।
ক্যাম্পে ডাক পেলেন যারা
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো, শহীদুল আলম সোহেল, মিতুল মারমা, মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
ডিফেন্ডার: কাজী তারিক রায়হান, সাদউদ্দিন, রিমন হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল হোসেন বাদশা, তপু বর্মণ, আলমগীর মোল্লা, রহমত মিয়া।
মিডফিল্ডার: মাশুক মিয়া জনি, সোহেল রানা, সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, মজিবুর রহমান জনি, রবিউল হাসান।
স্ট্রাইকার: রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, মতিন মিয়া, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, এলিটা কিংসলে, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আমিনুর রহমান সজীব, ইমন শারিয়াহ।