কিশোরগঞ্জে করিমগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা কাউসারকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
ডা. মির্জা কাউসার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার বাড়ি জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায়।
ডা. মির্জা কাউসারে স্ত্রী ডা. শিমুল আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তার হিসেবে কর্মরত।
ডা. মির্জা কাউসারের সহকর্মী ডা. সুমন মিয়া এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানান, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কালো রঙের একটি হাইএক্স গাড়ীতে পাঁচজন লোক এসে নামেন মেডিক্স কোচিং সেন্টারের সামনে। পরে তারা একসাথে কোচিংয়ের দ্বিতীয় তলায় এসে ওঠে জানতে চান পরিচালক কে? পরে অফিস কক্ষে ঢুকে কাউসারের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেই তাকে নিয়ে নিচে নামেন। তিনি তখন পাশের রুমে। বের হয়ে তিনিও নিচে নামেন। এসময় দেখেন গাড়ীতে আরও দুজন বসে আছেন। অপরহরণে অংশ নেওয়াদের মধ্যে একজন ঐ দুজনকে জিজ্ঞেস করেন এটাই কি কাউসার কি না? পরে তারা হ্যাঁ সূচক উত্তর দেওয়ার পরেই তাকে গাড়ীতে তুলে নেন। এসময় গাড়ীর ভিতরে থেকে কাউসার তাকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে বলার সাথে সাথে গাড়ীতে থাকা একজন নেমে তার ফোন কেড়ে নিয়ে চলে যান। তিনি বলেন, গাড়ীতে বসে থাকাদের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক পরা ছিল।
ডা. মির্জা কাউসারের বাবা আবদুল হাকিম জানান, তার জানামতে কাউসারের সাথে কারও শত্রুতা নেই। তাকে কেন অপহরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আ. ন. ম নৌশাদ খান জানান, মির্জা কাওছার খুবই নিরীহ প্রকৃতির ও মেধাবী। মেডিক্স কোচিং সেন্টারটি অল্পদিনে অনেক এগিয়েছে। কোচিং সেন্টার কেন্দ্রীক ঘটনায় তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন ওই ডাক্তারের অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।