ডিজিটাল মাধ্যমে অন্যায্য, বিদ্বেষপূর্ণ এবং ভুল তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে জানিয়ে ডিনেট’র নির্বাহী পরিচালক এম শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার সাথে থাকে সমান দায়িত্ব। তাই দিন শেষে আমরা চাই, আমাদের তরুণরা তাদের বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে বিবেকবান নাগরিক হোক; যা সমাজের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
ডিনেট’র একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত ন্যাশনাল সেমিনার অন প্রমোটিং রেসপনসিবল ডিজিটাল প্র্যাকটিস শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্থাটি জানায়, প্রকল্পটি তরুণদের মাঝে ডিজিটাল দুনিয়ায় ইতিবাচক আচরণের সংস্কৃতিকে প্রচার করে এবং অনলাইনে স্বাধীনভাবে এবং নিরাপদে নিজেদের প্রকাশ করতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে তরুণদের দায়িত্বশীল নাগরিক হতে সাহায্য করছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) সহ-অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পের অধীনে, ডিনেট ৫টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সংযুক্ত করে ঢাকা ও রাজশাহীতে ৫,০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে বলে জানানো হয়। তিন বছর ব্যাপী প্রকল্পটি অনলাইন লার্নিং পোর্টাল (www.digitalcitizenbd.com), সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ৫০,০০০-এরও বেশি ডিজিটাল নাগরিককে সচেতন করেছে।
সেমিনারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি চার্লস হোয়াইটলি, ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম এবং আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
সেমিনারে তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা বিভিন্ন গবেষণা তথ্য, জ্ঞান এবং শিক্ষা উপকরণ প্রদর্শন করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সেমিনারে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চার পাশাপাশি অনলাইন জগতে তরুণরা যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয় সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, দেশের ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হন। এবং আজ যেমন আমরা জানতে পেরেছি যে, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল জগতের জন্য প্রস্তুত করার সর্বোত্তম উপায় হল তাদের এই বিষয়ে যথাযথভাবে শিক্ষিত করা।