জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে আলোচনা সভা ও গণভ্যাকসিনেশন
সহযোগিতায় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার মাস উপলক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি এন্ড অবস বিভাগের আয়োজনে র্যালি, আলোচনা সভা ও গণ-ভ্যাকসিনেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ও গাইনি এন্ড অবস বিভাগের প্রধান নাজমা হক এর অংশগ্রহণে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শেষে গণটিকা কর্মসূচির আওতায় জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধী ইনসেপ্টার ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী, উপ-পরিচালক ডা. মোঃ খালেকুজ্জামান খান এবং গাইনি এন্ড অবস বিভাগের প্রধান নাজমা হকসহ গাইনী ও গাইনী অনকলোজি বিভাগের অনেক ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত ছিলেন।
দেশের প্রথম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা গত বছর থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ভ্যাকসিন ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ বাজারজাত শুরু করে। প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়, এটি জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী এইচপিভি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। বাংলাদেশে ক্যান্সারে নারী মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় প্রধান কারণ। এই ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান কারণ অসচেতনতা এবং অনেক বছরের অবহেলা।
প্রতি বছর দেশে ১১ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মারা যায় এবং ৫ কোটিরও বেশি নারী এর ঝুঁকিতে আছে। ৯ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সকল সুস্থ নারীকে এই ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূলের পথ অনেকটা এগিয়ে যাবে। এই ভ্যাকসিন দেশে বিদ্যমান অনেক দিনের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

এছড়াও প্যাপিলোভ্যাক্স আধুনিক প্রি-ফিলড সিরিঞ্জও বাজারজাত হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে সম্পূর্ণ ডোজ এসেপ্টিক পরিবেশে তৈরি করা হয় এবং সম্পূর্ণ স্টেরাইল প্যাকেজিংয়ে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় বাজারে দেয়া হয়। প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে ভ্যাকসিন সরাসরি প্রয়োগ করা সহজ এবং আলাদা করে মাত্রা পরিমাপের প্রয়োজন নেই। ফলে আরো নিরাপদে ও সহজে সঠিকমাত্রার ডোজে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।
বিজ্ঞাপন