‘বেটার ফিল্ম, বেটার অডিয়েন্স, বেটার সোসাইটি’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পর্দা উঠলো দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের!
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে দেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসবটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসময় কৃতজ্ঞতা জানান মন্ত্রী।
উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে উৎসবে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।
অনুষ্ঠানে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, “চলচ্চিত্র হচ্ছে বিশ্বকে বোঝার মাধ্যম। কারণ ইমেজ যেকোনও ভাষার চেয়ে শক্তিশালী। ” তিনি আরও বলেন, “আমাকে জুরি হিসেবে মনোনীত করায় আমি সম্মানিত বোধ করছি।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বসিনেমার সাথে বাংলা চলচ্চিত্রকে তুলে ধরতে এমন আয়োজনের প্রশংসা করেন অতিথিরা। বিশেষ করে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই উৎসবে সহযোগিতা করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় এই উৎসবে চীনের ১৬টি সিনেমা দেখানোর সুযোগ করে দেয়ায় উৎসব পরিচালককে ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে চীনের ছবিগুলো উপস্থিত দর্শকদের দেখারও আমন্ত্রণ জানান।
এসময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট একটি চলচ্চিত্র উৎসব প্রতি বছর চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য বিষয় বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
মুজতবা জামাল বলেন, শেষ এক বছর আমরা কী করেছি, তার প্রতিফলন ঘটবে আগামি ৯দিন। বলেন, একটি ভালো উৎসব উপহার দিতে এবারও চেষ্টার কমতি রাখিনি।
এসময় তিনি উৎসব পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এবারের উৎসবে উদ্বোধনী ছবি ইরানি নির্মাতা মুর্তাজা অতাশ জমজমের ‘ফেরেশতে’, ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান। এই ছবিটির পর পরই দেখানো হবে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
৯ দিনব্যাপী এই আয়োজনে ৭৪টি দেশের ২৫২টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। ভেন্যু হিসেবে এবারও থাকছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মূল ও সুফিয়া কামাল মিলনায়তন ও অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ।
বিভিন্ন দেশ ও ভাষার চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্যানারোমায় এ বছর থাকছে মোট ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এরমধ্যে ‘মুজিব’ ছাড়াও রয়েছে বাড়ির নাম শাহানা, নোনা পানি, মনলোক, মুন্তাসির, আজব ছেলে, ইতি চিত্রা, জাস্ট অ্যা জোক ডার্লিং,লীলাবতি নাগ, মেঘের কপাট, সাবিত্রী এবং ইছামতি।