চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘তেরে নাম’ নির্মাতার ময়নাতদন্ত শেষে যা বলছে পুলিশ

আচমকা সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন ‘তেরে নাম’ খ্যাত নির্মাতা ও অভিনেতা সতীশ কৌশিক। মাত্র ৬৬ বছর বয়সে তার চলে যাওয়া মানতে পারছেন না বলিউড সহকর্মীরা।

গত মঙ্গলবারেও তিনি ছিলেন আগের মতোই। সবাইকে মাতিয়ে রেখেছেন জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমির হোলি পার্টিতে। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সেই মাতিয়ে রাখা মুখটির চিরবিদায় সহ্য করা সহকর্মীদের জন্য কঠিনই!

বৃহস্পতিবার সকালে সতীশ কৌশিকের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শোকের মাতম বয়ে যায় বলিউডে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। যদিও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্ত করা হয়।

সতীশ কৌশিকের মৃত্যুতে রহস্যজনক কিছুই মেলেনি। পুলিশ সূত্র বলছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার খবর এসেছে। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।

বুধবার দিল্লিতে পৌঁছেছিলেন সতীশ কৌশিক, বন্ধুদের সঙ্গে হোলির উৎসব পালনেই সেখানে হাজির হন তিনি। বিজবাসনের ফার্ম হাউজে ছিলেন সতীশ, সেখানেই অসুস্থবোধ করেন তিনি। এরপর গুরুগ্রামের ফর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।

সংবাদমাধ্যমকে সতীশের ম্য়ানেজার জানান, ‘উনি রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। মধ্যরাত (১২টা ১০ মিনিট) নাগাদ আমাকে ফোন করেন বলেন ‘শ্বাসকষ্ট হচ্ছে’। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সতীশের মৃত্যু হওয়ায় পুলিশে ফোন যায় হাসপাতালের তরফে। এরপর নিয়ম মেনে দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয় বৃহস্পতিবার সকালে। বুধবার দিল্লিতে কাদের সঙ্গে দেখা করেন সতীশ, এবং তিনি কী কী করেছেন- সব তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিন সতীশের মৃত্য়ু সংবাদ জানিয়ে অনুপম খের লেখেন- ‘আমি জানি মৃত্যুই জীবনের এক এবং অদ্বিতীয় সত্য। কিন্তু আমি কখনও ভাবিনি আমি আমার প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে কখনও এমন কিছু লিখব। আমি বেঁচে থাকতে সতীশ কৌশিককে নিয়ে এমন কিছু লিখব ভাবিনি। ৪৫ বছরের বন্ধুত্ব হঠাৎই থেমে গেল। তোমায় ছাড়া জীবন আর আগের মতো থাকবে না সতীশ। ওম শান্তি।’

‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে ক্যালেন্ডারের চরিত্রে সতীশের অভিনয় আজও ভুলতে পারেনি দর্শক। তাঁর কমিক টাইমিং বরাবর প্রশংসিত। হালফিলেও ‘বাগি ৩’, ‘ছত্রিওয়ালি’র মতো ছবিতেও নজর কেড়েছেন সতীশ কৌশিক। বিখ্যাত ‘তেরে নাম’ ছাড়াও ‘রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা’ ,‘হম আপকে দিল মে রেহতে হ্যায়’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি পরিচালনাও করেছেন তিনি।